1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতু : একদিকে গর্ব আর স্বস্তি, অন্যদিকে যানজট বৃদ্ধি?

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
১৩ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন গণনার মাঝেই ভবিষ্যতের তীব্র যানজট আর সেতু ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়৷

https://p.dw.com/p/4CbmU
ছবি: Suliman Niloy/DW

দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বলছেন, যথাযথভাবে পরিকল্পনা না করায় এই সংকট দেখা দিয়েছে৷

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এক অর্থে বাংলাদেশ যেন দুটি বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডই ছিল৷ মেঘনা ও পদ্মা নদীর কারণে ঢাকা বিভাগের পাঁচ জেলার পাশাপাশি পুরো বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সড়ক পথে বিচ্ছিন্ন ছিল রাজধানীসহ দেশের ৪৩ জেলা থেকে৷ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ওই দুই বিভাগের ২১ জেলা এখন যুক্ত হচ্ছে বাকি বাংলাদেশের সঙ্গে৷

এরই মাঝে সংযুক্তির করিডোরে একটি এক্সপ্রেসওয়েও নির্মিত হয়েছে, যা ২০২০ সালে উদ্বোধনও করা হয়েছে৷ এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ৷ যাত্রাবাড়ী-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা৷ পদ্মা সেতু এখন এই দুই অংশকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করছে৷

খরস্রোতা পদ্মা নদীর উপর দিয়ে নানা কারিগরি, প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক আর কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ সরকার৷ তাই এই সেতু উদ্বোধনের ঐতিহাসিক ক্ষণকে নানা আয়োজনে উৎযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার৷ এর মাঝেই দুটি নতুন উদ্বেগ ছড়িয়েছে যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়৷

পদ্মা পাড়ির সনাতনী ব্যবস্থা

বর্তমানে রাজধানী থেকে পদ্মা পাড়ি দেয়ার জন্য দুটি ফেরি রুট রয়েছে৷ এগুলো হচ্ছে, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি এবং পাটুরিয়া দৌলতদিয়া৷ শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটটি মাওয়া রুট নামে অধিক পরিচিত৷ পুরনো মাওয়া বন্দর থেকে ফেরি ঘাট একটু সরিয়ে নেয়ায় রুটের নতুন নাম দেয়া হয়৷

মাওয়া রুটে এখন ছোট ছোট গাড়ি পারাপার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি)-র পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান৷ তার মতে, এই রুটে এখন প্রতিদিন গড়ে দুই আড়াই হাজার ছোট গাড়ি পারাপার হয়৷

মাওয়া হয়ে দূরপাল্লার গাড়িও চলে৷ তবে এগুলো এখন লঞ্চ পারাপার সার্ভিস দিয়ে থাকে৷ অর্থাৎ, গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ থেকে যাত্রীদের তুলে এ রুটের বাস তাদের নামিয়ে দেয় ঘাটে৷ সেখান থেকে বাস কোম্পানির নির্ধারিত লঞ্চে করে যাত্রীরা অপর পাড়ে গেলে ওই একই বাস কোম্পানির অন্য একটি গাড়ি তাদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেয়৷

আবার অনেক যাত্রী দুইপাশে নিজেদের মতো করে গাড়ি খুঁজে নেন৷ মাঝখানের নদী তারা লঞ্চ বা স্পিড বোটে পার হন৷

এই সব যাত্রীকে একত্রিত করলেও-পাটুরিয়া দৌলতদিয়া দিয়েই মাওয়ার থেকে বেশি মানুষ চলাচল করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা৷

বিআইডাব্লিউটিসির পরিচালক এস এম আশিকুজ্জামানের মতে, মাওয়ার দুই-আড়াই হাজার গাড়ির বিপরীতে পাটুরিয়া -দৌলতদিয়া দিয়ে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার গাড়ি যাওয়া-আসা করে৷ এর মাঝে বাস আছে গড়ে ১২শ থেকে ১৩শ৷

যাত্রাবাড়ীতে ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা

যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ অনেক আগে থেকেই যানজটপূর্ণ এলাকা৷ তবে ২০১৩ সালে উদ্বোধন হওয়া মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কারণে ফ্লাইওভারে চলাচলকারী মানুষ এই যানজট থেকে মুক্তি পায়৷ ফ্লাইওভারের কারণে নীচেও কমে যায় গাড়ির চাপ৷ সেখানে চলাচলকারী মানুষও পায় কিছু স্বস্তি৷ তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম দিকের সেই সুসময় এখন আর নেই৷

সিএনজিচালিক অটোরিকশা চালক মোবারক হোসেন বলেন, ‘‘এক সময় ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে একটানে পার হয়ে যাওয়া যেতো৷ এখন উপরে-নীচে সব জায়গায় যানজট৷’’

"বিপদ আরো আছে৷ উপরে রাস্তা ভালো হলেও যানজটে পড়লে ডাইনে বামে (অন্য কোনো সড়কে) যাওয়ারও উপায় থাকে না৷ আর নীচে রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে গাড়ি, যাত্রী উভয়ের অবস্থাই শেষ৷’’

Bangladesch | Schlechter Zustand der Straßen in Dhaka
যাত্রাবাড়ী এলাকায় রাস্তার অবস্থা এখন গ্রামের রাস্তার চেয়েও খারাপ বলে জানান বাস চালক মনির হোসেন৷ছবি: Suliman Niloy/DW

মতিঝিল থেকে মদনপুর রুটে চলাচলকারী একটি বাসের চালক মনির হোসেন বলেন, ‘‘যাত্রাবাড়ী এলাকায় রাস্তার অবস্থা এখন গ্রামের রাস্তার চেয়েও খারাপ৷ এই পথে চলতে গিয়ে এক গাড়ি আরেক গাড়ির সাথে বাড়ি খায়, গ্লাস ভাঙে, যাত্রীদের হাত-পা কাটে৷’’

তিনি বলেন, ‘‘বিগত এক বছর ধরে এই ভয়াবহ অবস্থা চলছে৷ কিন্তু কেউ রাস্তা ঠিক করে না৷’’

ট্রান্স সিলভা পরিবহনের চালক সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘রাস্তা ভালো হলে আমাদের সুবিধা হয়, যাত্রীর সুবিধা হয়, গাড়ী ভালো থাকে৷ আর ভাঙাচোরা গাড়ি হলে অসুস্থ যাত্রী থাকলে সমস্যা হয়৷’’

যাত্রাবাড়ি থেকে মিরপুর রুটে চলাচলকারী ট্রান্সসিলভা গাড়ির এই চালক প্রায় চার দশক এই এলাকায় কখনো গাড়ির হেল্পারি করেছেন, কখনো ড্রাইভিং করেছেন৷ এখানকার রাস্তা প্রতিবছরই ভাঙতে দেখেছেন তিনি৷

‘‘যে একটু তালিতুলি দেয়, বৃষ্টি হলে তো আবার… প্রতি বছরই ভাঙে এই রাস্তা৷’’

রাস্তার চেয়ে গাড়ির সংখ্যা এখনই বেশি বলে মনে করেন তিনি৷

তার মতে, পদ্মাসেতু হলে গাড়ির সংখ্যাও বাড়বে৷ যানজটও বাড়বে৷ সরকারিভাবে নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করবে৷

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের সামনের রাস্তা গত ১৬-১৭ বছর ধরে ভাঙতে দেখছেন পিকআপ চালক মো রফিক৷ 

তার মতে, ভাঙার কারণে গাড়ি যেতে পারে না৷ জ্যাম লেগে যায়৷

তিনি বলেন, এক সময় ডেমরার রাস্তাই এই এলাকার মূল রাস্তা ছিল৷

Bangladesch | Schlechter Zustand der Straßen in Dhaka
‘ভাঙার কারণে গাড়ি যেতে পারে না, জ্যাম লেগে যায়’ছবি: Suliman Niloy/DW

যাত্রাবাড়ী থেকে কাচপুর সড়কের যাত্রাবাড়ী অংশ খাল ভরাট করে করা হয়েছে বলে দাবি তার৷ এ কারণেই প্রতি বছর এই রাস্তা ভেঙে যায় বলে মনে করেন তিনি৷

বিআইডাব্লিউটিসির পরিচালক এস এম আশিকুজ্জামানের মতে, পদ্মা সেতু চালু হলে পাটুরিয়া রুটের অন্তত ২০-২৫ শতাংশ  গাড়ি চলে আসবে পদ্মা সেতুতে৷

এই হিসাব সঠিক হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত আড়াই থেকে ৩ হাজার গাড়ি আসবে যাত্রাবাড়ীতে৷ এসব গাড়ি শহরে ঢুকতে ফ্লাইওভার ব্যবহার করতে পারবে৷ তবে চট্টগ্রাম-সিলেট বিভাগের দিকে যেতে পার হতে হবে যাত্রাবাড়ীর বেহাল ভাঙাচোরা রাস্তা৷  কারণ, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফ্লাইওভার দিয়ে উঠে কুতুবখালী বা ডেমরামুখী সড়কে নামার কোনো ব্যবস্থা নেই৷ এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ফ্লাইওভারে উঠলে সায়েদাবাদ, গুলিস্তান বা চানখার পুল দিয়েই কেবল নামা যাবে৷

এসব নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করে মালবাহী ছোট গাড়ির চালক মো. মফিজ মিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মনে করেন, একটা বাড়ি করবো৷ এখন বাড়ি করার সময় আমার কতুটুকু জায়গা লাগবো, কী কী করা লাগবো, আমার এখানে বাগান লাগবো, কল লাগাবো, টয়লেট লাগবো,  রাইন্দোন্না জায়গা লাগবো৷ আমার এগুলো করন লাগবো না? আমার পোলাপান এখানে ঘুরবো-খেলবো-সেই জায়গা লাগবো না? আমি ওই হিসাব করে বাড়িটা করবো না?’’

যাত্রাবাড়ীতে সব সময় জ্যামই থাকবে: চালক মো. মফিজ মিয়া

‘‘সরকার সেভাবে হিসাব করে নাই'' উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘একটা দেশের সরকার হয় কেমন? তার মাথার ব্রেন হতে হবে, পুরোপুরি ক্লিয়ার৷’’

‘‘প্রতিদিন দুই হাজার গাড়ি বেশি আসলে এখন যে মাঝেমধ্যে ক্লিয়ার মাঝেমধ্যে দেখা যায়, ওইটা আর দেখা যাইবো না৷ সব সময় জ্যামই থাকবো, যদি রাস্তা এভাবে ভাঙা থাকে৷ রাস্তা ভালো থাকলেও, পাকা করলেও তখন জ্যামই থাকবো, হয়ত একটু কম আর একটু বেশি৷ কারণ, যাত্রাবাড়ী মোড় কভার দিয়ে আইতে অইবো৷ মোড়ে কিন্তু চারিদিকের গাড়ি৷  মোড়ে কিন্তু অনেক জায়গার দরকার ছিল৷ সরকারের এই সব কিছু পরিকল্পনা করেই কাজটা করা উচিত ছিল৷’’

তিনি বলেন, ‘‘এখানে ইট বিছিয়ে হালকা করে লেভেলিং করে দেন, তাহলেও কিন্তু এই জ্যামটা থাকে না আর এই ফালা হয় না, এত কাদা হয় না৷’’

গাবতলীর বাসের পদ্মা সেতুতে যাওয়া নিয়ে জটিলতা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ বাস ছাড়ে এই গাবতলী থেকে৷ বিআইডাব্লিউটিসির হিসাবে প্রতিদিন ১২শ থেকে ১৩শ গাড়ি এই টার্মিনাল থেকে যাওয়া-আসা করে৷ এই গাড়িগুলো কীভাবে পদ্মা সেতুতে উঠবে-সেটা নিয়ে উদ্বেগ এখানকার চালক-মালিকদের মধ্যে৷

ঢাকা-খুলনা রুটের পরিবহণ শ্রমিক আরিফ হোসেন বলেন, ‘‘একটা রাস্তা আছে কেরানিগঞ্জ দিয়া৷ সেটার অবস্থা ভালো না৷ চিপা রাস্তা৷ সিটির মধ্য দিয়া তো দিনে আমাগোরে যাইতে দিবো না৷ আমাগো ফেরি দিয়াই যাইতো হইবো৷’’

এই রুটে চলাচলকারী শাকুরা পরিবহণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা সেটা নিয়ে খুবই টেনশনে আছি৷ এই গাড়িগুলো কোথা থেকে গিয়ে পদ্মা সেতুতে উঠবে, এর কোনো দিক নির্দেশনা আমরা পাই নাই৷ আমরা খুবই হতাশায় আছি'৷' তিনি বলেন, গাবতলী থেকে হেমায়েতপুর-কেরানিগঞ্জের ভেতর দিয়ে একটা রাস্তা করার কথা ছিল৷ সেটা করে নাই৷’’

‘‘এখন হয়ত বলবে, সায়েদাবাদ৷ কিন্তু সায়েদাবাদে এতগুলো গাড়ি অ্যাকোমোডেশনের কোনো ব্যবস্থা নাই৷ কোন কাউন্টার নাই৷ গাড়িগুলো রাখার কোনো ব্যবস্থা নাই৷ আমরা এটা নিয়ে মারাত্মক টেনশনের ভেতরে আছি যে, সরকার কী করতে চায়৷’’

‘‘মালিকদের সাথে কোনো আলোচনাও করে না যে, এটা নিয়ে এভাবে এভাবে করতে চাই৷ এটা নিয়ে আমরা চরম হতাশায় আছি৷ কারণ অনেক গাড়ি৷ গাবতলী থেকে দক্ষিণাঞ্চল, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১১শর মতো গাড়ি চলে৷’’

সমাধান কোন পথে

পদ্মা সেতুর গাড়ি যাত্রাবাড়ীতে কতটা চাপ দেবে, কীভাবে সেই চাপ সামলানো উচিত- তা জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় গণপরিবহণ বিশেষজ্ঞ ড. মো. শাসসুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা এখনই কিন্তু পড়ছে৷ পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়নি৷ তারপরও যারা মাওয়া করিডোর দিয়ে আসেন, ঢাকায় ঢুকতে গিয়ে এর যে রোড নেটওয়ার্কটা আছে, সেটা কিন্তু নিজস্ব লোকাল ট্রাফিকের ক্যাপাসিটিটাই এখন ধারণ করতে পারছে না৷’’

‘‘ঢাকায় যে পরিমাণ চাহিদা পিক আওয়ারে, বাইরে থেকে বাধাহীনভাবে যারা চলে আসবে৷ সঙ্গত কারণেই এটা হবে অতিরিক্ত ট্রাফিক৷ এই অতিরিক্ত ট্রাফিকে ঢাকার এখন যে অবস্থা, আমার মনে হয় কোনোভাবেই নিতে পারবে না’’

পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনাবিদ নাই: বুয়েটের অধ্যাপক মো. শামসুল হক

‘‘ঢাকার রোড নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনো রিং রোড নাই৷ কোন অরবিটাল রোড নাই৷ গ্রামার ছাড়া রোড নেটওয়ার্ক৷ এগুলো যখন বানিয়েছে, শর্টটাম নিডকে এড্রেস করে জোড়তালি দিয়ে বানিয়েছে৷ কিন্তু রাস্তারও একটা গ্রামার আছে, সুন্দর কনফিগারেশন আছে৷’’

‘‘কোন রাস্তার কনফিগারেশন কেমন হলে প্রোডাক্টিভিটি কেমন পাওয়া যাবে, সেটা অলরেডি শত বছরের অভিজ্ঞতা৷’’

তার মতে, পদ্মাসেতু যে সময়টা বাঁচাবে, সেটা এখন শহরে ঢুকতে গিয়ে ব্যয় হয়ে যেতে পারে৷

তিনি বলেন, ‘‘যদি একটা রিং রোড থাকতো, সে তাহলে সেই রিং রোড ধরে চলে যেতো৷’’

‘‘রিংয়ের সাথে আরিচা করিডোরের রাস্তাটাও থাকবে, ময়মনসিংহের রাস্তাটাও থাকবে, আশুলিয়া-৩০০ ফিটের রাস্তাটাও থাকবে৷ সবগুলো থাকবে৷’’

‘‘সমস্যাটা পরিকল্পনায়’’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘পুরো ঢাকায় আগামী একশ বছরে কী কী আসতে যাচ্ছে, সেগুলো ভেবে পরিকল্পনা করার মতো লোক নেই৷ কোনো স্তরেই নেই৷ এটাই হলো সবচেয়ে বড় দুর্বলতা৷ স্বয়ং পরিকল্পনা কমিশনে কোনো পরিকল্পনাবিদ নেই৷ যারা আছে তারা কেবল বাজেট দেখে৷ তাদের দর্শন নিয়ে প্রশ্ন করার দরকার ছিল৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য