1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পম্পেই নয়, হারকুলেনিয়াম

ক্রিস্টিয়ান রোমান/এসি৮ এপ্রিল ২০১৬

ভিসুভিয়াস বললেই সেই হলিউডের ছবি – দ্য লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই৷ অথচ দু'হাজার বছর আগে রোমানদের জীবন সম্পর্কে ধারণা করার জন্য নেপলস-এর কাছে হারকুলেনিয়ামে গেলেই চলে৷

https://p.dw.com/p/1IRIJ
হারকুলেনিয়াম
ছবি: DW

হারকুলেনিয়ামে রোমানদের জীবন

ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির পাদদেশে নেপলস শহর৷ ভিসুভিয়াস নেপলসের প্রেক্ষাপট, আবার এক অকল্পনীয় বিপদের প্রতীক৷ ভিসুভিয়াসের শেষ বিস্ফোরণ ঘটেছিল ৭২ বছর আগে৷ তবে নেপলসের মানুষ জানেন, বিপদের সঙ্গে কিভাবে ঘর করতে হয়৷ নেপলস শহরের প্রাচীন অংশটা ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড কালচারাল হেরিটেজ৷ যে কারণে বছরে দশ লক্ষ পর্যটক এখানে আসেন৷ বিশেষ করে মিউজিয়ামগুলো টুরিস্টদের টানে: যেমন মিউজিও দি কাপোদিমন্তে, যেখানে মধ্যযুগ থেকে রেনেসাঁস অবধি বিভিন্ন শিল্পকর্ম রাখা আছে৷ তবে এই এলাকার ইতিহাস আরো ভালোভাবে বুঝতে গেলে যেতে হবে হারকুলেনিয়ামে – ভিসুভিয়াসের কোপে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি শহর – নেপলস থেকে ট্রেনে আধ ঘণ্টা৷

খ্রিষ্টজন্মের ৭৯ বছর পরে ভিসুভিয়াসের একটি বিস্ফোরণে শহরটি চাপা পড়ে – আর ঠিক সেই কারণেই আগামী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে৷ প্রত্নতত্ত্ববিদ দোমেনিকো কামার্দো বলেন, ‘‘আমরা এখানে রোমক আমলের নানা বাড়ি দেখি, যেগুলো তিনতলা অবধি অক্ষত অবস্থায় আছে৷ আশ্চর্য হলো যে, কাঠের জানলা-দরজার কপাট পর্যন্ত আগের অবস্থায় রয়েছে৷ যার ফলে আমরা দু'হাজার বছর আগের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা করতে পারি৷''

বুলওয়ার-লিটনের দ্য লাস্ট ডেজ অফ পম্পেই খ্যাত পম্পেয়েই শহরের বহু বাড়ি আগ্নেয়গিরির ছাইতে ধ্বংস হয়েছিল – হারকুলেনিয়াম কিন্তু পুরোপুরি লাভায় ঢাকা পড়ে৷ যে কারণে এখানকার বহু মোজেইক আর ফ্রেস্কো প্রায় দু'হাজার বছর পরেও, ঠিক আগের মতোই আছে৷

কামার্দো বলেন, ‘‘রোমানদের জীবনযাত্রা আরো ভালোভাবে বোঝা যায় এই হারকুলেনিয়ামে৷ এখানে প্রাসাদোপম বাড়িগুলির দেয়ালে মোজেইক আর দেয়ালচিত্র দেখতে পাওয়া যায়৷ আমরা দেখি, ধনি-দরিদ্র কিভাবে পাশাপাশি বাস করেছে৷ সকলেই এই সব দোকানে কেনাকাটা করতে আসত৷ দোকানিরা এখানে শুধু সুরা নয়, খাদ্যশস্য বেচত – যার অবশিষ্ট এখনও সংরক্ষিত আছে৷ এখানে খাবার কিনতে পাওয়া যেত, আবার দোকানে বসে খাওয়াও যেত৷''

ভিসুভিয়াসের বিস্ফেোরণের আগে হারকুলেনিয়াম কিরকম দেখতে ছিল, তা দেখা যায় সাইটের পাশে ভার্চুয়াল আর্কিওলজিকাল মিউজিয়ামে৷ ত্রিমাত্রিক প্যানোরামা ফিল্মে অতীতের সেই বিপর্যয় যেন আবার জীবন্ত হয়ে ওঠে৷ মিউজিয়ামের কিউরেটর চিরো কাচ্চিওলা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই মিউজিয়াম একটা এক্সপেরিমেন্ট – একটা সফল এক্সপেরিমেন্ট৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে হারকুলেনিয়ামের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐশ্বর্য তুলে ধরার একটা সহজ-সরল পন্থা৷''

নেপলসের সান গ্রেগোরিও আর্মেনো গলিতে খ্রিষ্টীয় ‘ম্যাঞ্জার', অর্থাৎ যে গোয়ালঘরে খ্রিষ্টের জন্ম হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নানা মূর্তি ও পুতুল বিক্রি হয় – সারা বছর ধরেই – যদিও এগুলো কাজে লাগে বড়দিনের সময়৷ তবুও – সঙ্গে নিয়ে যেতে আপত্তি কী?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান