1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে বুথ, ভোট চলবে এক মাস

৮ জানুয়ারি ২০২১

করোনাকালের সতর্কতা বজায় রেখেই ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গে। তাই বুথের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হবে।

https://p.dw.com/p/3nfgv
পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেয়ার লাইন। এবার বুথ বাড়িয়ে লাইন কমাতে চাইছে কমিশন। ছবি: Reuters/R. De Chowdhuri

আর দিন কয়েকের মধ্যেই ভারতে করোনার টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট যখন হবে, তখন বেশ কয়েক কোটি মানুষ করোনার টিকা পেয়ে যাবেন। তা সত্ত্বেও কোনো ঝুঁকি নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। তারা অন্তত সাত দফা ভোটের কথা ভাবছে, আর ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও বেশি বাড়ানো হচ্ছে। গতবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার। এ বার আরো ২৮ হাজার নতুন বুথ যোগ করা হবে। আগে বুথ পিছু এক হাজার ৪০০-র মতো মানুষ ভোট দিতেন। এ বার তা কমিয়ে এক হাজারের নীচে নামিয়ে আনা হবে। 

এই সিদ্ধান্তের কারণ, করোনার কবল থেকে ভোটদাতাদের সুরক্ষা দেয়া। বেশি ভোটকেন্দ্র হলে ভিড় কমবে। একটি বুথে ভোটদাতার সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভোট দিতে পারবেন সকলে। বিহারেবিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই পথে হেঁটেছিল নির্বাচন কমিশন। সে জন্য বিহারে ভোটগণনা শেষ হতে অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি সময় লেগেছিল। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তা হতে পারে।

পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলি ভোটে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশিস ভৌমিক। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''ভোটদাতার সংখ্যা কমলে বুথে ভিড় কমবে। করোনা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, সকাল নয়টা বা বেলা দশটার সময় প্রচুর মানুষ ভোট দিতে আসেন। এবারও সেই প্রবণতা বজায় থাকলে সেই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।'' দেবাশিসের মতে, ''অনেক সময় দেখা যায়, সন্ধ্যা ছয়টায় যখন ভোটপর্ব শেষ হওয়ার কথা, তখনও প্রচুর ভোটদাতা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের ভোট দেয়ার কাজ শেষ করতে দেরি হয়। ভোটদাতার সংখ্যা কমলে সেই সম্ভাবনাও কমবে। তাই বুথের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভালো।''

গত ডিসেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুনীল জৈন। তাঁর রিপোর্ট পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এখন চাইছে, এপ্রিলের গোড়ায় ভোটপর্ব শুরু করে দিতে। অন্তত যদি সাত পর্বের ভোট হয়, তা হলে দুইটি পর্বের মধ্যে দিন চারেকের ফারাক থাকবে। নিরাপত্তা বাহিনীর যাতায়াতের জন্য এই সময়টুকু দিতে হয়। তাই সবমিলিয়ে অন্তত মাসখানেক ধরে ভোটপর্ব চলবে। কমিশন চাইছে, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশ করে দিতে।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটে নিরাপত্তার প্রশ্নটিও কমিশনকে ভাবাচ্ছে। এনিয়ে কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলের নালিশও জমা পড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে কমিশন। তারপর তারা ভোটের দিন চূড়ান্ত করবে। তবে মার্চেই তারা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে চায়।

জিএইচ/এসজি(আনন্দবাজার, পিটিআই)