1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাক হাই কমিশনে কর্মী অর্ধেক করতে হবে: ভারত

২৩ জুন ২০২০

পাকিস্তানকে হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করতে বলল ভারত৷ ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীসংখ্যাও অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি৷

https://p.dw.com/p/3eEDk
Symbolbild | Indien Pakistan Freundschaft
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/H. Tyagi

চীন ও নেপালের পর এবার পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে ভারতের৷ বিদেশ মন্ত্রক থেকে এদিন একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে পাকিস্তানকে হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে৷ ভারতও একই কাজ করবে এবং ইসলামাবাদে দূতাবাসের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করে দেবে৷

বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, ভারত বারবার পাক হাই কমিশনের কর্মীদের আচরণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে৷ অভিযোগ হল, অনেক কর্মীই চরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত এবং তারা জঙ্গিদের মদত দেয়৷ গত ৩১ মে হাই কমিশনের দুই কর্মীকে চরবৃত্তি করার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়েছিল৷

ওই দুই পাক হাই কমিশন কর্মী দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন৷ তারা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে নথিপত্র নিচ্ছিলেন৷ এরপর তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়৷

বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, পাকিস্তানে ভারতীয় কর্মীরা প্রকৃত কূটনৈতিক কাজ করতে গিয়ে বাধা পান৷ সম্প্রতি দুইজন দূতাবাস কর্মীকে বন্দুক দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে৷ 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আচরণ ভিয়েনা কনভেনশন বিরোধী৷ সেইসঙ্গে দূতাবাসকর্মীদের সঙ্গে ব্যবহার নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে তাও তারা ভঙ্গ করছে৷ উল্টো তারা সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসকে মদত দিচ্ছে ও সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে৷ তাই পাক হাইকমিশনের কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত৷

পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে বিদেশ মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানের এখন হাই কমিশনে কর্মী সংখ্যা ১১০ জন৷ ফলে সেই কর্মী সংখ্যা সাতদিনের মধ্যে ৫৫ করতে হবে৷

ভারতের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ কারণ, প্রথমে এক বা একাধিক কর্মীর কাজ পছন্দ না হলে তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়৷ তারপর হাই কমিশনকে ডেকে পাঠানো হয়৷ এই দুইটি ধাপই এরিমেধ্যে দুই দেশ সম্পন্ন করেছে৷ এরপর কর্মীসংখ্যা কমাতে বলা হয়। সেই সিদ্ধান্তও নিয়ে নিল ভারত। ফলে চীন, নেপালের পর, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার লক্ষণ প্রকাশ্যে এল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

জিএইচ/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য