1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানকে না বলতে পারি না: সৌদি যুবরাজ

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাকিস্তান সফরে এসে এমন মন্তব্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের৷ দুই দিনের এ সফরে ২০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই হয়েছে দুই দেশের মধ্যে৷ পাকিস্তানের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিতে এ বিনিয়োগ দেখাচ্ছে আশার আলো৷

https://p.dw.com/p/3DZqu
Mohammad bin Salman in Pakistan Imran Khan
ছবি: Reuters

২০১৭ সালে সৌদি যুবরাজ হওয়ার পর এটিই যুবরাজ মোহাম্মদের প্রথম পাকিস্তান সফর৷ ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অবশ্য দুই বার সৌদি আরব ঘুরে এসেছেন৷

সৌদি যুবরাজের পাকিস্তান আগমন নিয়ে ইসলামাবাদ বেশ উচ্ছ্বসিত৷ বিশেষ করে বৈদেশিক রিজার্ভ কমে যাওয়া, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়াসহ নানা সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনীতি৷ ফলে, সৌদি যুবরাজের আগমন এবং বিশাল আকারের বিনিয়োগের ঘোষণা দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য আনন্দের বার্তা৷

আর সে আনন্দ দেখাতে গিয়েই কি না প্রোটকল ভাঙলেন ইমরান খান৷  রোববার যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে, যাকে এমবিএস নামেও ডাকা হয়, নিজে গাড়ি চালিয়ে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে এলেন বাসভবনে৷ গত মাসে অবশ্য আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান পাকিস্তান সফরে এলে একই কাজ করেছিলেন ইমরান খান৷

এর আগে, নূর খান বিমানঘাঁটিতে অবতরণের পর ইমরান খান যুবরাজকে স্বাগত জানান৷ যুবরাজের সম্মানে ২১ বার তোপধ্বনির পর তাঁকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার৷

বিনিয়োগ ২০ বিলিয়ন ডলার

দুই নেতার বৈঠকে বিশাল অংকের বিনিয়োগ চুক্তিতে সই করেন ইমরান ও সালমান৷ ২০ বিলিয়ন ডলারের এ চুক্তিতে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে পেট্রোক্যামিকেল, জ্বালানি, খনিজ ও অন্যান্য খাতে৷

দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গুণগান গেয়ে ইমরান খান বলেন, ‘‘পাকিস্তান ও সৌদি আরব দুই দেশের সম্পর্ককে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে, যা আগে কখনই ছিল না৷ এই বিনিয়োগ থেকে দুই দেশই সমান উপকৃত হবে৷''

সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, পাকিস্তান অদূর ভবিষ্যতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ আমরা এর অংশ হতে চাই৷''

‘পাকিস্তানকে না বলতে পারি না'

সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি শ্রমিক বিভিন্ন খাতে শ্রমিক হিসেবে নিয়োজিত আছেন৷ তাঁদেরকে নানা সমস্যায় পড়তে হয় উল্লেখ করে পাকিস্তানি শ্রমিকদের সহায়তায় সৌদি যুবরাজের পদক্ষেপ কামনা করেন ইমরান খান৷

ইমরান বলেন, ‘‘তাঁরা (শ্রমিকেরা) আমার হৃদয়ের মানুষ৷ তাঁরা পরিবার ও সন্তানদের ছেড়ে সব কষ্ট স্বীকার করে অর্থ উপার্জনের জন্য বিদেশ যান৷ কয়েক মাস বা বছরে তাঁরা তাঁদের পরিবারের সাথে দেখাও করতে পারেন না৷''

জবাবে সৌদি যুবরাজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ‘‘আমাকে সৌদি আরবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ধরে নিন৷ আমরা কখনও পাকিস্তানকে না বলতে পারি না৷''

মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন মন্তব্য ‘পাকিস্তানিদের মন জয় করে নিয়েছে' বলে এক টুইটে মন্তব্য করেছেন ইমরান খান৷

আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব ইমরান-সৌদিেোহ্গ ইসলামাবাদ সফর শেষে মঙ্গলবার ভারত যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ৷ ভারতেও এটি সৌদি যুবরাজের প্রথম সফর৷

সৌদি যুবরাজ দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও আছেন৷ ফলে তাঁর এ সফরে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেন্ট্রাল পুলিশ রিজার্ভ ফোর্সের ওপর হামলায় চল্লিশের বেশি জওয়ান মারা যাওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে আসছে ভারত৷ এ হামলায় পাকিস্তান সরকারের মদদ আছে, এমন অভিযোগও তুলছেন কেউ কেউ৷

পাকিস্তানে সৌদ যুবরাজের সফর তাই একটু ভাবাচ্ছে ভারতকেও৷ সৌদি আরব যদিও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ভারতের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠকে আসতে পারে ভারতের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিশাল সৌদি বিনিয়োগের খবর৷ পাশাপাশি পাকিস্তানের বিষয়টিও জোরের সাথেই উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

এডিকে/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান