1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের ‘ইউনিভার্সিটি অব জিহাদ’

১৬ নভেম্বর ২০২০

পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা৷ জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের অনেক নেতাই পড়াশোনা করেছেন এখানে৷

https://p.dw.com/p/3lMwB
Pakistan Darul Uloom Haqqania Seminar
ছবি: Abdul Majeed/AFP

মাদ্রাসা থেকে পড়া বেশ কয়েকজন ছাত্র পরবর্তীতে তালেবান নেতা হয়েছেন৷ আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানদের চলমান শান্তি আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন এ মাদ্রাসার কয়েকজন সাবেক৷ এখান থেকে পড়ুয়াদের অনেকেই সরাসরি অংশ নিয়েছেন রাশিয়া-আফগান যুদ্ধে৷

সাবেকদের জঙ্গিগোষ্ঠীতে অংশগ্রহণে লজ্জিত নয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, বরং গর্বিত তারা৷

সাবেকদের অনেকে জিহাদি কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়' নামে ডাকে কর্তৃপক্ষ৷

প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নেতা সামি-উল-হক তালেবানগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের গুরু হিসেবে পরিচিত৷ অভিযোগ আছে যে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকান্ডের সাথে মাদ্রাসাটির সাবেক কিছু ছাত্র জড়িত৷

মাদ্রাসাটিতে সরাসরি সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া না হলেও এখানকার ছাত্ররা চাইলে ছুটির সময়ে জিহাদে অংশগ্রহণের জন্য যেতে পারে বলে জানা গেছে৷  

‘‘আমরা গর্বিত৷ আফগান যুদ্ধে এ মাদ্রাসার ছাত্ররা রাশিয়াকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে৷ অ্যামেরিকাকেও ফেরত পাঠানো হয়েছে,'' বললেন মাদ্রাসার একজন প্রভাবশালী শিক্ষক মাওলানা ইউসাফ শাহ ৷

মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার ছাত্র পড়াশোনা করে৷ মাদ্রাসা থেকেই শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়া ও পোশাক-আশাকের খরচ দেওয়া হয়৷

জিহাদি তৈরি করে এমন কুখ্যাতি থাকার পরও মাদ্রাসাটি পাকিস্তান সরকার কিংবা দেশটির অনেক রাজনৈতিক দলের সমর্থন পায় এমন অভিযোগ আছে৷

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-এ-ইনসাফও রাজনৈতিক সমর্থনে পেতে মাদ্রাসাটিকে অর্থায়ন করেছে বলে অভিযোগ৷

মাদ্রাসাটির এমন কর্মকান্ডে তীব্র আপত্তি আফগান সরকারের৷ আফগান সরকারের মুখপাত্র সেদিক সেদ্দিকি মাদ্রাসাটি বন্ধের দাবি জানিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘হাক্কানিয়া মাদ্রাসা উগ্রপন্থী আর তালেবানের জন্ম দেয় যা আমাদের দেশের জন্য হুমকি৷''

আফগান নেতাদের অভিযোগ, এ ধরনের মাদ্রাসাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার মানে হলো পাকিস্তান তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে৷

সহিংস কর্মকাণ্ড উস্কে দিচ্ছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ৷ বিদেশি সৈন্যদের টার্গেট করার বিষয়টি সমর্থন করে শাহ বলেন, ‘‘কেউ যদি অস্ত্র নিয়ে আপনার ঘরে প্রবেশ করে তাহলে আপনি অবশ্যই বন্দুক তাক করবেন৷’’

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা এ প্রতিষ্ঠানে সরাসরি কোন মিলিটারি প্রশিক্ষণ পায় না কিংবা জিহাদে যেতে বাধ্যও নয়৷ তবে জিহাদ বিষয়ে এখানে খোলাখোলি আলোচনা চলে৷

আরআর/কেএম (এএফপি)