1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ?

৯ এপ্রিল ২০২২

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসছে৷

https://p.dw.com/p/49iVa
Shahbaz Sharif
ছবি: Anjum Naveed/AP/picture alliance

১১ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে৷  কাল বিকেল তিনটায় জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে৷

ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যার নাম সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে, তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি শাহবাজ শরিফ৷

শাহবাজ শরীফ এবং পিটিআইয়ের শাহ মাহমুদ কোরেশি প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহবাজ শরীফ বলেন, জাতীয় সম্প্রীতিই হবে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার৷ পিএমএল-এন নেতা বলেন, ‘‘তিনি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে পরামর্শের পরে একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন৷ তারা একটি নতুন যুগের সূচনা করবেন৷’’

শনিবার মধ্যরাতে দিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান৷ জাতীয় পরিষদের ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিরোধীদের প্রয়োজন ছিল ১৭২ ভোট।

পাকিস্তানে অনাস্থা ভোটে কারও প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর এটাই প্রথম ঘটনা৷ আগে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেও তারা টিকে গিয়েছিলেন৷

প্রধানমন্ত্রীকে পদচ্যুত করতে 'বিদেশি ষড়যন্ত্রে' অংশ নিতে পারবেন না জানিয়ে মধ্যরাতে পদত্যাগ করেন স্পিকার আসাদ কায়সার। রাত বারোটার পর প্যানেল স্পিকার পিএমএল-এন নেতা আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে নতুন অধিবেশনে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলাফলে নিশ্চিত হয় ইমরান খানের বিদায়।

দেশের ধসে পড়া অর্থনীতি এবং ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো৷ গত ৭ মার্চ জাতীয় পরিষদের সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয় তারা৷ ‘অসাংবিধানিক' আখ্যা দিয়ে ৩ এপ্রিল এই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি৷ পরে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট৷

বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক রায় দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট৷ ডেপুটি স্পিকারের রুলিং অসাংবিধানিক উল্লেখ করে সংক্ষিপ্ত রায়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, অনাস্থা ভোটপর্ব নিয়ে বেশি দেরি করা চলবে না৷ আর অনাস্থা ভোটের ফলাফল ঘোষণা না করে অধিবেশন শেষ করা যাবে না৷

রায়ে বলা হয়, এই অবস্থায় সংবিধান অনুসারে ইমরান খান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করতেই পারেন না৷ তার সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তও তাই অসাংবিধানিক৷ এর ফলে প্রধানমন্ত্রী, সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পরামর্শদাতারা তাদের পদ ফিরে পাবেন বলে রায়ে বলা হয়৷

 

এফএস, এপিবি/এডিকে (জিও, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য