1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাখির সঙ্গে ওড়ার অভিনব অভিজ্ঞতা

২৯ নভেম্বর ২০১৮

পরিযায়ী পাখিরা দূর-দূরান্তরে পাড়ি দিতে অভ্যস্ত৷ তবে খাঁচার পাখিদের সেই ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা নেই৷ ফ্রান্সের এক আবহাওয়াবিদ অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অভিনব কায়দায় লুপ্তপ্রায় পাখিদের আকাশে ওড়ার শিক্ষা দিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/396A3
ছবি: DW

পাখির মতো বাতাসে ভেসে বেড়ানো, তাও আবার পাখিদেরই সঙ্গে  – অত্যন্ত হালকা এক উড়োজাহাজের কল্যাণে পর্যটকরা ফ্রান্সে এমন বিরল অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে পারেন৷

ডয়চে ভেলের সহকর্মী মেগিন লেই এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেতে ক্রিস্টিয়াঁ মুলেক-এর কাছে গেছেন৷ শৈশব থেকেই পাখি সম্পর্কে এই আবহাওয়াবিদের বিপুল আগ্রহ ছিল৷ পাখি সুরক্ষার লক্ষ্যে এক প্রকল্পের আওতায় এমন উড়ালের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ মুলেক বলেন, ‘‘এই পাখিদের দূরে পাড়ি দিয়ে আবার প্রকৃতিতে বিচরণ করার কায়দা শেখানোর চেষ্টা করি৷ শিকারের কারণে তারা লুপ্তপ্রায় হতে বসেছিল৷ খাঁচায় থাকা নতুন প্রজন্মের পাখিদের পরিযায়ী পাখি হিসেবে প্রশিক্ষণ দেবার চেষ্টা করি, যাতে তারা জার্মানির দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে সংরক্ষিত এলাকায় শীতযাপন করতে পারে৷’’

ক্রিস্টিয়াঁ মুলেক-এর প্রায় ২০০ পাখির সঙ্গে অন্য প্রাণীও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে৷ ফ্রান্সের ওরিয়াক এলাকায় তাঁর খামারে লুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে স্বীকৃত ১২টি প্রজাতি আশ্রয় পেয়েছে৷ দিনে কমপক্ষে একবার, প্রধানত সকালেই তিনি পাখিদের নিয়ে আকাশে ওড়েন৷ প্রত্যেক উড়ালের আগে হালকা বিমানটি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়৷ মুলেক বলেন, ‘‘অনেক বিষয়ের প্রতি নজর দিতে হয়, যাতে পাখিদের কোনো আঘাত না লাগে৷ অন্য পাইলটদেরও পাখিদের সঙ্গে ওড়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেটা শিখতে পারেন না৷ আমি পারি, কারণ আমার পাখিদের প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দেই৷ তাদের আঘাত লাগতে দেই না৷ বিমান চালনার প্রতি আমার মনোযোগ কম থাকে৷’’

হাঁসগুলি পোষা হলেও তাদের নিজস্ব মর্জিমেজাজও কম নয়! উড়ালের আগে হাঁসগুলিও খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে৷ তারপর উড়ালের পালা৷ মাটি ত্যাগ করার সময় কিছুটা ভয় পেলেও আকাশে উড়ে মেগিন নিজের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে লাগলেন৷

ক্রিস্টিয়াঁ মুলেক তাঁর সহযাত্রীদের উড়ন্ত হাসের সাবধানে স্পর্শ করতেও উৎসাহ দেন৷ এত কাছে থাকায় তাদের স্পর্শ করাও সহজ৷ মেগিন লেই বলেন, ‘‘গুজবাম্প বা গায়ে কাঁটা দেওয়া কাকে বলে, তা সত্যি বুঝতে পারছি৷ এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আমার কখনো হয়নি৷’’

প্রায় ৩৫ মিনিট ওড়ার পর আবার নীচে নামার পালা৷ সেই প্রক্রিয়া ওড়ার তুলনায় বেশি ভয়ানক মনে হয়৷ পাখিদের অবশ্য নীচে নামার কোনো ইচ্ছে নেই৷ মেগিন লেই বলেন, ‘‘পাখিদের সঙ্গে উড়ে আবেগে চোখে পানি এসে গিয়েছিল৷ এমন অসাধারণ অভিজ্ঞতার জন্য ধন্যবাদ ক্রিস্টিয়াঁ৷’’

এভাবে দিন শেষ হলো৷ বাতাস ও ডানার নীচে ওড়ার অনুভূতির রেশ কিন্তু এখনো রয়ে গেছে৷

মেগিন লেই/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য