1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারমাণবিক পরিকল্পনা বাতিল করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হল জার্মানির

৩০ মে ২০১১

মাত্র এক দশক সময় নিয়েই জার্মানি তাদের যাবতীয় পারমাণবিক প্রকল্প বন্ধ করে দেবে৷ ম্যার্কেল সরকারের এই সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তের পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য সুখবর৷ জার্মানির আশা, এই সিদ্ধান্ত অন্যদেরকেও উদ্বুদ্ধ করবে৷

https://p.dw.com/p/11Qjh
পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন ক্রমশ বাড়ছিল জার্মানিতেছবি: AP

জার্মান সরকারকে দেখা গেল তাদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে

কারণ সহজ৷ একে তো ফুকুশিমার ভয়াবহ কাণ্ড৷ বিশ্বে সবচেয়ে প্রযুক্তি পরায়ণ দেশ জাপানেই সুনামি আর ভূকম্পনের যুগপৎ হামলার পর যেভাবে পারমাণবিক ভীতি ছড়িয়ে পড়েছিল, তার টাটকা উদাহরণ জার্মান সরকারকে যথেষ্ট ভাবিয়েছে৷ তারপর দেখা যাচ্ছিল জার্মানির মধ্যে এই পারমাণবিক পরিকল্পনা নিয়ে তীব্র আপত্তি৷ গত কয়েকমাস যাবৎ এদেশের সব বড় শহরেই একাধিক বিক্ষোভের ছবি দেখা গেছে৷ যাতে সাধারণ মানুষের যোগদানটা ছিল চোখে পড়ার মতই৷ ফলে তারপরে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ ভাবতে হয়নি৷

Cancun Klimakonferenz 2010 NO FLASH
ভবিষ্যতের জ্বালানি এইখানেই নিহিত৷ছবি: AP

এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের সামনে জার্মানির ভাবমূর্তি উঁচু করবে

পারমাণবিক শক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত জার্মানির ভাবমূর্তি ভালো করবে এমন মতামত দিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ পাঁচ দেশীয় সফরে বেরিয়ে বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারতে৷ ভেস্টারভেলের মতে, জার্মানি যে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, সেটাই ভবিষ্যতের পথ৷ ফলে, সেকাজে গোটা দুনিয়ায় এবার নেতৃত্ব দিতে পারবে জার্মানি৷

দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানির যোগাড় নিয়ে সমস্যা হবে না কী?

সে সমস্যার সমাধান খুঁজতে চায় ম্যার্কেল সরকার সবুজ উপায়ে৷ যার অর্থ, পরিবেশ বান্ধব পন্থা৷ বস্তুত জার্মানির যাবতীয় জ্বালানির মধ্যে ২৩ শতাংশ আসে ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে৷ তার সমাধানের জন্য, এর মধ্যের সময়টাকে ব্যবহার করে সৌরবিদ্যুৎ এর জন্য রাস্তা প্রশস্ত করতে চায় জার্মানি৷ জার্মান পরিবেশমন্ত্রী নরবার্ট ব়্যটগেন সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈঠকের পর৷ কিন্তু, একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে এই সিদ্ধান্ত থেকে যে জার্মানি পথ দেখাতে পারে৷ তাদের সে সক্ষমতা আছে৷ আর যে বিষয়টি রাজনৈতিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হল, এই সিদ্ধান্তের ফলে আসলে পায়ের তলায় জমি আরও শক্ত হল জার্মানির সবুজ দল বা গ্রিন দলের৷ ম্যার্কেলের আগে এসপিডি সবুজ দলের জোট সরকারের সময়েই এই পারমাণবিক পরিকল্পনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রথম নেওয়া হয়েছিল৷ এতদিনে তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ