1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পার্সেল বোমা পেলেন ওবামা, ক্লিন্টন

২৫ অক্টোবর ২০১৮

ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচক বলে পরিচিত একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে পার্সেল বোমা পাঠানো হয়েছে৷ ট্রাম্প এই ঘটনার নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/379ua
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/FBI

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে পার্সেল বোমা পাঠানো হয়েছে৷ সৌভাগ্যবশত তার মধ্যে কোনোটি বিস্ফোরণ ঘটায়নি৷ এফবিআইসহ একাধিক মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ আরো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এমন বোমা পাঠানো হয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বিল ক্লিন্টন, তাঁদের স্ত্রী যথাক্রমে মিশেল ওবামা ও হিলারি ক্লিন্টন, ওবামার আমলের বিচারমন্ত্রী এরিক হোল্ডার, প্রাক্তন সিআইএ প্রধান জন ব্রেনান, ডেমোক্র্যাটিক দলের সমর্থক কোটিপতি জর্জ সোরোস ছাড়াও সংবাদ পরিবেশনকারী সংস্থা সিএনএন-কে উদ্দেশ্য করে এই সব পার্সেল পাঠানো হয়েছিল৷ ক্যালিফোর্নিয়ার সংসদ সদস্য ম্যাক্সিন ওয়াটার্সকে উদ্দেশ্য করে দু-দুটি পার্সেল বোমা পাঠানো হয়েছিল৷ ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্দেশ্য করেও সম্ভবত এমন পার্সেল পাঠানো হয়েছে৷ পুলিশ সেটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে৷ প্রত্যেকটি পার্সেলের প্রেরক হিসেবে ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাটিক দলের সংসদ সদস্য ডেবি ওয়াসারমান শুলৎসের নাম লেখা ছিল৷ সোমবার থেকে বুধবার এই পার্সেলগুলি শনাক্ত করা হয়েছে৷ নিউ ইয়র্ক শহরের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া বিস্ফোরকগুলি সম্ভবত পাইপ বোমা ছিল৷

পার্সেল বোমার লক্ষ্যবস্তু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত৷ ট্রাম্প নিজেও তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিকবার তাঁর রোষ উগরে দিয়েছেন৷ সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে এমন ঘটনা বাড়তি তাৎপর্য পাচ্ছে৷ ফলে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের একাধিক নেতা এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব খোদ ট্রাম্পের উপর চাপাচ্ছেন৷ বিরোধীদের প্রতি প্রেসিডেন্টের চড়া সুর ও চরম বিদ্বেষের কারণেই এমন বিষাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ এমনকি সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনারও প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প৷

ট্রাম্প নিজে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ তাঁর মতে, অ্যামেরিকায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই৷ সামগ্রিকভাবে গণতন্ত্রের উপর এমন হামলার মুখে তিনি সব শিবিরের উদ্দেশ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন৷ ট্রাম্প ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের ঘোষণা করেছেন৷ তিনি এমন পরিবেশের জন্য সংবাদ মাধ্যমকে দায়ী করেন৷ তাঁর মতে, লাগাতার বিদ্বেষ এবং নেতিবাচক ও ভুল অভিযোগের ভিত্তিতে হামলা চালিয়ে ও প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যম এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে৷

সিএনএন-এর প্রধান জেফ সাকার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, সংবাদ মাধ্যমের উপর লাগাতার হামলার গুরুত্ব সম্পর্কে হোয়াইট হাউস একেবারেই সচেতন নয়৷ প্রেসিডেন্ট ও প্রেস সেক্রেটারিকে নিজেদের কথার গুরুত্ব বুঝতে হবে বলে তিনি মনে করেন৷ এখনো পর্যন্ত সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)