1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোশাক শিল্পে নতুন মজুরি কাঠামো আগামী মাস থেকে

২৭ অক্টোবর ২০১০

আগামী ১লা নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করতে হবে৷ মালিকপক্ষ নানা আশংকার কথা বললেও শ্রমিক পক্ষ বলেছে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোন সুযোগ নেই৷

https://p.dw.com/p/PogD
ছবি: AP

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য সরকার মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে গত ২৯ শে এপ্রিল৷ মালিকপক্ষ সে সময়ে ন্যুনতম তিন হাজার টাকা মজুরি মেনে নিলেও বাস্তবায়নের জন্য কয়েকমাস সময় চায়৷ তখন নভেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়৷ আর সেই সময় কয়েকদিন পরেই৷

কিন্তু মঙ্গলবার ঢাকায় মালিক, শ্রমিক আর সরকার পক্ষের অংশগ্রহণে এক গোল টেবিল বৈঠকে মালিকরা মজুরি বাস্তবায়নে নানা সমস্যার কথা বলেন৷ ইউরোপীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় এই বৈঠকে পোশাক কারখানা মালিকদের প্রতিনিধি আহমেদ উল্লাহ বলেন বর্ধিত বেতনের মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন করলে এই শিল্পে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে৷ সামাজিকভাবেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷

Unruhen der Textilarbeiter in Bangladesch
নির্যাতন সয়ে দাবি আদায় করতে হয়েছে পোশাক শ্রমিকদেরছবি: AP

তবে শ্রমিক নেতারা বলেন, ন্যুনতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য মালিকপক্ষ যথেষ্ট সময় পেয়েছে৷ বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোন টালবাহানা সহ্য করা হবেনা৷ আর নতুন বেতন কাঠামোও প্রচলিত বাজার দরের চেয়ে কম, যেমন বললেন শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ৷

মালিক-শ্রমিকের সম্মতিতেই হয়েছে এই মজুরি কাঠামো৷ আর এই মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষনে কাজ করছে একাধিক কমিটি, যা জানান শ্রম মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান ইস্রাফিল আলম এমপি৷ তিনি বলেন, ১লা নভেম্বর থেকেই নতুন মজুরি কাঠামো চালু করতে হবে তৈরি পোশাক শিল্পে ৷ যদি কোন মালিকের অক্ষমতা থাকে তাহলে তাকে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন সহায়তা করবে৷ সক্ষমতা সৃষ্টিতে ব্যাংকগুলো আর্থিক সহায়তাও দেবে৷

গোল টেবিল বৈঠকে তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক সংগঠন চালুর বিষয়টিও উঠে আসে৷২০১২ সালের মধ্যে তৈরি পোষাক শিল্পে পুরোপুরি শ্রমিক সংগঠন চালুর কথা রয়েছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম