1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোস্টার দিয়ে ফের বিতর্কে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

বিক্ষোভকারীদের খবর দিলেই ইনাম। উত্তরপ্রদেশের দিকে দিকে এমন পোস্টার দিয়ে নিন্দার মুখে রাজ্যের পুলিশ।

https://p.dw.com/p/3VLF6
ছবি: AFP

সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে ফের বিতর্কে জড়ালো যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। কানপুর, গোরক্ষপুর, মউ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার লাগাতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। যাতে রয়েছে বহু মানুষের মুখ। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তিরা হিংসাত্মক বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তাঁদের খবর দিতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে।

সাধারণত কোনও দাগি অপরাধীকে ধরার ক্ষেত্রে এ ধরনের পোস্টার দিয়ে থাকে ভারতের পুলিশ। কিন্তু সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তা নিয়ে এ ধরনের পোস্টার দেওয়া যায় কি না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অবশ্য এর মধ্যে বিতর্ক দেখতে পাচ্ছে না। তাদের দাবি, গত কয়েক দিনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। নষ্ট হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। বহু জায়গায় পুলিশের গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এ কাজ করেছেন, তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না। সে কারণেই এ ধরনের পোস্টার প্রতিটি শহরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পোস্টারে বলা হয়েছে, অপরাধীদের খবর যাঁরা দেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এবং পুরস্কৃতও করা হবে।

শুধু তাই নয়, গোরক্ষপুরের বেশ কিছু বাড়িতে নোটিস আটকে দিয়ে এসেছে পুলিশ। যাতে বলা হয়েছে, ওই বাড়ির কোনও কোনও সদস্য বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। দু দিনের মধ্যে তাঁরা থানায় না গেলে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলা হয়েছে, যাঁরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছেন প্রয়োজনে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে।

উত্তরপ্রদেশপুলিশের এই অতি তৎপরতায় বিস্মিত বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিন্দা করছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গোটা রাজ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হয়ে এক নাবালকের। তাদের বক্তব্য, পুলিশ যে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। বস্তুত, পুলিশের গুলি চালানোর বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও পুলিশ গুলি চালানোর কথা স্বীকার করছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, সে সব নিয়ে পুলিশের কোনও মাথা ব্যথা নেই। অথচ, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

আইন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে ভাবে প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে যে, বিক্ষোভকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে, তা-ও সমর্থনযোগ্য নয়। পুলিশের কাজ অভিযুক্তদের ধরা। অভিযুক্তরা অপরাধী কি না এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা দেখার কাজ বিচার বিভাগের। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ বিচারের দায়িত্বও নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। এ কাজ অন্যায্য এবং অন্যায়।

এসজি (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস)