1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান

১৩ এপ্রিল ২০২১

পরিবেশ সাংবাদিকতা কর্মশালা: “পরিবেশ সাংবাদিকতা: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহ – প্রাণ ও সংঘাতের উৎস”

https://p.dw.com/p/3rxNh
Ecofrontlines Teaser

জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থাগুলোর মধ্যে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে ডয়চে ভেলে একাডেমি। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের তরুণ সংবাদকর্মীদের জন্য ডয়চে ভেলে একাডেমি একটি কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছে। কর্মশালাগুলো “পরিবেশ সাংবাদিকতা: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহ – প্রাণ ও সংঘাতের উৎস” শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে পরিচালিত হবে। এই প্রকল্প জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ সাংবাদিকতায় মোবাইল প্রতিবেদন তৈরিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা করাই কর্মশালার উদ্দেশ্য।

পটভূমি:

পরিবেশগত দিক থেকে বিশ্বে সবচেয়ে হুমকিতে থাকা অঞ্চলগুলোর একটি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পরিবেশগত সমস্যাকে আরো মারাত্মক করে তুলছে।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নদী ও স্রোতধারা অঞ্চলটির জীবন ধারণের উৎস। নদীতীরে বসবাসকারী অনেকেই জীবিকার জন্য জলপথের ওপর নির্ভর করেন। জলাভাব, খরা, বন্যা, বন উজাড় হওয়া, অতিরিক্ত মাছ ধরা, পানি দূষণ এবং অন্যান্য পরিবেশগত সংকটে এরাই সবার আগে বিপদের মুখে পড়েন। একদিকে পরিবেশগত বিপত্তির কারণে নাগরিকদের ভোগান্তি হয়, অন্যদিকে অনেক সময় জলপথগুলো বড় আকারের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণ হয়ে দেখা দেয়।

সংঘাত এড়াতে পরিবেশগত সমস্যার কারণ ও এর প্রভাব বিষয়ে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তথ্যভিত্তিক পরিবেশ সাংবাদিকতা মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি, সমস্যায় আক্রান্তদের কথা তুলে ধরার ফলে এ নিয়ে আলোচনা শুরু এবং সমস্যার আন্তসীমান্ত সমাধানেরও সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে, ডয়চে ভেলে একাডেমি সাংবাদিকতার কর্মশালার আয়োজন করেছে। একই সঙ্গে নিজেদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে থাকা স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে। এর লক্ষ্য, সমাধানভিত্তিক এবং মানসম্মত পরিবেশ সাংবাদিকতায় সহায়তা করা।

সাংবাদিকতার কর্মশালা এবং প্রতিযোগিতা

ডয়চে ভেলে একাডেমি বাংলা ভাষায় মোবাইল সাংবাদিকতা এবং পরিবেশ সাংবাদিকতার ওপর দুটি অনলাইন কর্মশালার আয়োজন করবে। বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিটি কর্মশালা চার অর্ধদিবস অনুষ্ঠিত হবে (প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা)। উভয় কর্মশালায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। কর্মশালা-১ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের জুন ৮-৯ এবং জুন ১৪-১৫। কর্মশালা-২ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের জুন ২৮-২৯ এবং জুলাই ৭-৮। কর্মশালায় পরিবেশ বিষয়ে একটি মোবাইল ভিডিও প্রতিবেদন তৈরির ব্যাপারে অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তুত করে তোলা হবে। যেসব অংশগ্রহণকারী উভয় কর্মশালা এবং ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করবেন, তাদের প্রত্যেককেই একটি সনদপত্র দেয়া হবে। পাশাপাশি, প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে একজনকে বিজয়ী হিসাবে নির্বাচিত করবে ডয়চে ভেলে একাডেমি।

প্রতিটি দেশের বিজয়ীদের ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পরিবেশ সাংবাদিকতা সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এই সম্মেলনে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সংবাদকর্মী, বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশকর্মীদেরও আমন্ত্রণ করা হবে। সম্মেলনের পর বিজয়ী ব্যক্তি বা দলের সদস্যরা আরো একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন। ডয়চে ভেলে একাডেমি অংশগ্রহণকারীদের ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া এবং ভিসার খরচ বহন করবে। তবে ডয়চে ভেলে একাডেমি বিজয়ীদের এই পুরস্কারের পরিবর্তে নগদ অর্থ পরিশোধ করবে না।

“পরিবেশ সাংবাদিকতা: ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান নদীসমূহ – প্রাণ ও সংঘাতের উৎস” প্রকল্পের আওতায় প্রস্তুত করা প্রতিবেদন যদি ডয়চে ভেলের সাংবাদিকতার মান বজায় রাখে, তাহলে তা ডয়চে ভেলের প্রচার মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হতে পারে।

যেভাবে আবেদন করবেন

আপনার মোবাইল ভিডিও প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র এবং আবেদনপত্র পূরণ করুন। আমরা বাংলাদেশ থেকে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক নানা সংকট নিয়ে প্রতিবেদন খুঁজছি যা জলের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত (নদী, হ্রদ, ঝর্ণা, সাগর ইত্যাদি)। স্থানীয় জনগোষ্ঠী কিভাবে এসব সংকটের সমাধান করছে, এ নিয়ে প্রতিবেদনের প্রস্তাবও দেয়া যেতে পারে। নারী বা সমাজের অন্যান্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল অংশ (তরুণ, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী) কিভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন, এ নিয়ে প্রতিবেদনের প্রস্তাবকেও আমরা উৎসাহিত করি। পাশাপাশি, বিভিন্ন পরিবেশগত সংকটের সমাধান কী হতে পারে, তা নিয়েও প্রতিবেদনের প্রস্তাব দেয়া যেতে পারে।

বাংলাদেশের আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ডয়চে ভেলে একাডেমি ১০টি সেরা প্রস্তাব বাছাই করবে এবং তাদের কর্মশালার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে। দুটি কর্মশালার পর অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রস্তাবিত মোবাইল ভিডিও প্রতিবেদনের কাজ শুরু করবেন। প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য অংশগ্রহণকারীরা প্রায় এক মাস  সময় পাবেন। প্রস্তুতির সময়ে ডয়চে ভেলের অভিজ্ঞ সাংবাদিকরা বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় অংশগ্রহণকারীদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

  • বাংলাদেশের সব অঞ্চল থেকেই আমরা আবেদন আহ্বান করছি। আবেদনকারীদের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলের সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবেশ সংকট নিয়ে একটি মোবাইল ভিডিও প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে।
  • বাংলাদেশের ২০-৩৫ বছর বয়সি সাংবাদিক, যাদের ১-৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আবেদন করতে পারবেন।  পাশাপাশি যারা স্থানীয় গণমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে নাগরিক সাংবাদিক, ব্লগার বা ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করেন, তারাও আবেদন করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ভিডিও প্রতিবেদন এবং পরিবেশ বিষয়ে লেখালেখির ন্যূনতম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • আমরা ব্যক্তি বা দল হিসেবে (প্রতি দলে সর্বোচ্চ দুই জন সদস্য) আবেদন গ্রহণ করবো।
  • নারী, আদিবাসী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী নাগরিকদের আবেদনকে আমরা বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।
  • বাংলা ভাষা বলা এবং লেখায় দক্ষতা থাকতে হবে।
  • আবেদনকারীদের দুটি অনলাইন কর্মশালা এবং বিজয়ী হলে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পরিবেশ সাংবাদিকতা সম্মেলনে অংশগ্রহণে সম্মতি থাকতে হবে।
  • ল্যাপটপ বা ওয়েবক্যামসহ ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। (স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে অনলাইন কর্মশালায় অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।)
  • বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আবেদনকারীদের মোবাইল ভিডিও প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে।
  • যেসব গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহিত করবে, কর্মশালার দিনগুলোতে ছুটি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অংশগ্রহণকারী যদি জাতীয় প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, তাকে ২০২১ সালের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় পরিবেশ সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগও দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

  • আবেদনপত্র: নীচে লিংক থেকে ডাউনলোড করুন।
  • সম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাংলা বা ইংরেজিতে পূরণ করুন এবং অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে সেভ করুন। দল হিসেবে আবেদন করলে দলের উভয় সদস্যকে আলাদা আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
  • প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র: নীচে লিংক থেকে ডাউনলোড করুন।
  • বাংলা বা ইংরেজিতে প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র সম্পূর্ণ পূরণ করুন এবং অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে সেভ করুন। দল হিসেবে আবেদন করলে উভয় সদস্য মিলে একটি  প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র পূরণ করুন।
  • আপনি আগেই করেছেন, এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদন ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভে আপলোড করে আমাদের লিংক পাঠান। আপলোড করা ভিডিও প্রতিবেদনে আবেদনকারীর প্রাথমিক দক্ষতার পরিচয় থাকতে হবে। ভিডিও বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় হতে হবে।
  • আপনার পূরণ করা আবেদনপত্র, প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র এবং ভিডিও লিংকসহ আমাদের একটি ইমেইল পাঠান এই ঠিকানায়: eco-Bangla@dw.com

  •  দল হিসেবে আবেদনের ক্ষেত্রে একটি ইমেইলেই দুটি আবেদনপত্র, দুটি ভিডিও প্রতিবেদনের লিংক এবং একটি যৌথ প্রতিবেদন প্রস্তাবপত্র পাঠান।
  • ফিরতি ইমেইলের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনাকে যদি সংক্ষিপ্ত তালিকার জন্য বাছাই করা হয়, তাহলে পরবর্তীতে আরেকটি ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর পাঠানো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদনের শেষ সময় রবিবার, ৯ মে, ২০২১, বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা

কর্মশালায় অংশ নেয়ার জন্য নির্বাচিত হওয়া ১০ আবেদনকারীর সঙ্গে সোমবার, ১৭ মে, ২০২১ তারিখের মধ্যে যোগাযোগ করা হবে।

নীচের লিংক থেকে আবেদনপত্র এবং প্রতিবেদনের প্রস্তাবপত্র ডাউনলোড করুন৷ বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো একটি ভাষায় এই দুটি ফরম পূরণ করলেই চলবে৷

যেকোনো তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন- eco-Bangla@dw.com