1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৬,৭০০ রোহিঙ্গা নিধন করেছে সেনাবাহিনী!

১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, ২৫শে আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর এক মাসের মধ্যে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে৷ নিহতের মধ্যে ৫ বছরের কমবয়সি শিশুর সংখ্যা ৭৩০৷

https://p.dw.com/p/2pMHS
প্রতীকী ছবি
ছবি: Reuters/D. Sagolj

ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের শরণার্থী কেন্দ্রগুলোতে জরিপ চালিয়ে তারা জেনেছেন, ২৫শে আগস্ট থেকে ২৪শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬,৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে৷ এমএসএফ বলছে, তাদের জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে এই হিসেবে ধরলে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৪২৪ থেকে ১৩ হাজার ৭৫৯ জনও হতে পারে৷ তবে এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা৷ অথচ সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল নিহতের সংখ্যা ৪০০৷

রাখাইনের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের পুড়িয়ে, পিটিয়ে, ধর্ষণ-নিপীড়ন করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এমএসএফ৷ নিহতদের মধ্যে এমন ৭৩০ জন শিশুও রয়েছে, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম৷ এই শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ২৫শে আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে

জেনিভা ভিত্তিক এই দাতা গোষ্ঠী বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরগুলোতে গিয়ে ১১ হাজার ৪২৬ জন রোহিঙ্গার উপর ৬টি জরিপ চালিয়েছে৷ এমএসএফ এর মেডিকেল ডিরেক্টর ডক্টর সিডনি অং জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আসলে কত সেটা সুর্নিদিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন৷ জরিপে সেই পরিবারের কথা ধরাই হয়নি, যাদের কোনো সদস্যই হয়ত বেঁচে নেই৷ অথবা এমন কোন পরিবার যারা স্বজনদের হারিয়ে মিয়ানমারেই রয়ে গেছে৷

‘আমাকে ট্যাবলেট খেয়ে ধর্ষণ করেছে’

সিডনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি৷ তারা আমাদের জানিয়েছে, তাদের পরিবারের কে কে মারা গেছে৷ বা তারা অনেককে দেখেছে গুরুতর আহত অবস্থায়, যাদের মৃত বলেই ধরে নিয়েছে তারা৷'' নিহতদের মধ্য ৬৯ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ৯ ভাগকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ৫ ভাগকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷ 

জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন' হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছে৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)

প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনাদের কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান