1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতির উদ্দেশে ভাষণ

৯ জানুয়ারি ২০১৯

মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়ার প্রতিশ্রুতি পালন করতে বিরোধী দলের সঙ্গে চরম সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ ফলে প্রশাসনে অচলাবস্থা কাটার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/3BE2Z
সীমান্তে প্রাচীর গড়ার জেদে অটল রয়েছেন ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/J. Martin

ধীরে ধীরে ঘরে-বাইরে আরো কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দুই বছর সংসদের উভয় কক্ষে নিজের রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় নিজের ইচ্ছামতো অনেক পদক্ষেপ নিতে পেরেছেন তিনি৷ কিন্তু মিডটার্ম নির্বাচনে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্যের পর সেই সুবিধা হারিয়েছেন তিনি৷ ফলে শুরুতেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন ট্রাম্প৷ তার জের ধরে বাজেট নিয়ে চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে৷ ‘শাটডাউন'-এর কারণে মার্কিন প্রশাসনের অনেক কার্যকলাপ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক সরকারি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না৷ সংশ্লিষ্ট কনট্রাক্টরদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে৷

এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন ট্রাম্প৷ তবে তাতেও আপোশের তেমন সুর শোনা গেল না৷ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পালন করতে ট্রাম্প বদ্ধপরিকর রয়েছেন৷ তার ব্যয় হিসেবে মার্কিন কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে তিনি আবার ৫৭০ কোটি ডলার মঞ্জুর করার ডাক দিলেন৷ ট্রাম্প অবশ্য আগের হুমকিমতো জাতীয় আপৎকালীন পরিস্থিতি ঘোষণা করেননি৷ সেক্ষেত্রে তিনি কংগ্রেসকে এড়িয়ে সরাসরি সামরিক তহবিল থেকে প্রাচীর তৈরির অর্থ আদায় করতে পারেন৷ জনগণের উদ্দেশে তিনি এই প্রাচীরের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা ও মানবিক সংকট বেড়ে চলায় এই পদক্ষেপ কার্যকর করা জরুরি হয়ে উঠেছে৷ তাঁর মতে, বেআইনি অনুপ্রবেশকারী ও মাদকপাচারকারীদের কারণে অ্যামেরিকার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে৷ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আর কত মার্কিন রক্ত বওয়ার পর কংগ্রেস তার কাজ করবে?''

অ্যামেরিকায় জনমানসে সরকারি অচলাবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে৷ একটি জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ এই শাটডাউনের জন্য ট্রাম্পকে দায়ী করছেন৷ ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁর প্রতি সমর্থন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ গত মাসে তিনি বলেছিলেন, প্রাচীর গড়ার স্বার্থে তিনি গর্বের সঙ্গে সরকারের কাজকর্ম বন্ধ করে দেবেন৷

বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতারাও টেলিভিশনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ করেন৷ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ভয়ভীতির পথ বেছে নিয়েছেন৷ আর আমরা তথ্য দিয়ে যুক্তি তুলে ধরতে শুরু করেছি৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও অ্যামেরিকার মানুষের কল্যাণকে জিম্মি করার পথ বেছে নিয়েছেন৷ গোটা দেশ জুড়ে প্রায় ৮ লক্ষ নিরপরাধ কর্মীর বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি৷'' 

এই অবস্থায় রিপাবলিকান দলের সংসদ সদস্যদের মধ্যেও অস্বস্তি বেড়ে চলেছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে এই সংকট সামলানোর চেষ্টা করছেন, তার বিরুদ্ধে দলের মধ্যেও অসন্তোষ বাড়ছে৷ বুধবার ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে উভয় দলের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)