1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রয়াত গীতা দে, পিন্টু ভট্টাচার্য

১৮ জানুয়ারি ২০১১

প্রয়াত হলেন বাংলা সাংস্কৃতিক জগতের দুই জনপ্রিয় চরিত্র, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী গীতা দে এবং সঙ্গীতশিল্পী পিন্টু ভট্টাচার্য৷ যাঁরা দুজনেই বাংলা বিনোদন জগতে নিজেদের প্রতিভার সাক্ষর রেখে গেছেন৷

https://p.dw.com/p/zyy1
গীতা দেছবি: DW/Sirsho Bandopadhyay

প্রথাগত অর্থে ওঁরা কেউই তারকা ছিলেন না৷ কিন্তু দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাধর শিল্পী যাঁরা নিজেদের অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে৷ এবং সেই সুবাদেই, এক দীর্ঘ সময় ধরে এঁরা দুজন হয়ে থেকেছেন শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের ঘরের লোক, খুব কাছের মানুষ এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় দুই শিল্পী৷ অভিনেত্রী গীতা দে এবং সঙ্গীতশিল্পী পিন্টু ভট্টাচার্য৷ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গীতা দে মারা গেলেন রবিবার মধ্যরাতে৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০৷ সোমবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ৭১ বছর বয়সী পিন্টু ভট্টাচার্য৷ তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন৷

অভিনেত্রী গীতা দে ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সংবেদনশীল, পরোপকারী, স্নেহশীল একজন মানুষ হওয়া সত্ত্বেও সিনেমা-থিয়েটারের দর্শকদের কাছে বিখ্যাত, বা সঠিকভাবে বলতে গেলে কুখ্যাত হয়ে আছেন দজ্জাল, কুঁদুলে মহিলা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য৷ কতবার যে তিনি নায়ককে নির্দয়ভাবে বাড়ি থেকে বার করে দিয়ে বা নায়িকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে লোকের বিদ্বেষ কুড়িয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই৷ এমনই বিশ্বাসযোগ্য ছিল গীতা দে-র অভিনয়৷ গীতা দে-র অভিনয় শিক্ষার প্রথম পাঠ নাট্যাচার্য শিশির ভাদুড়ির কাছে৷ অহিন্দ্র চৌধুরি, নরেশ মিত্র, দেবনারায়ণ গুপ্ত, শম্ভু মিত্র, ছবি বিশ্বাস, বাংলা থিয়েটার জগতের মহিরুহদের ছায়ায় সেই শিক্ষা ক্রমশই আরও পূর্ণতা পেয়েছে৷ ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিত রায়-সহ প্রায় সব বড় পরিচালকের ছবিতেই তিনি অভিনয় করেছেন৷

নজরুলগীতি গায়ক হিসেবে শুরু করলেও পিন্টু ভট্টাচার্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন আধুনিক গানের অসাধারণ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে৷ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে-র মত অসাধারণ প্রতিভাধরদের পাশাপাশি শ্যামল মিত্র, পিন্টু ভট্টাচার্যরাই বাংলা আধুনিক গানের অন্য ধারাটিকে প্রবাহিত রেখেছিলেন সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে৷ হেমন্ত-মান্নাকে অনুষ্ঠানে আনার কথা ভাবতে পারতেন না যে মধ্যবিত্ত জলসা-উদ্যোক্তা, তাদের ত্রাতা ছিলেন পিন্টু ভট্টাচার্য৷ পাড়ার ছোট জলসা থেকে অফিস ক্লাবের অনুষ্ঠান ভরিয়ে রাখতেন সুরের ঝর্ণাধারায়৷ একেবারে শেষদিকে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল তাঁর৷ চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়নি৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন