1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরব নারীদের সাফল্য

১৭ অক্টোবর ২০১২

পশ্চিম তীরের হেব্রন শহরে আসন্ন পৌর নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ১১ জন নারী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন৷ পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাঁদের এই উদ্যোগ বিশেষ নজর কাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/16RUL
ছবি: AP

ফিলিস্তিনি এলাকার হেব্রন শহরে পৌর নির্বাচন৷ আপাতদৃষ্টিতে এর মধ্যে কোনো অভিনবত্ব নেই৷ কিন্তু একটি নির্বাচনী কেন্দ্রে সব প্রার্থীরাই যদি নারী হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা চাঞ্চল্যকর খবর বটে৷ পুরুষতান্ত্রিক ফিলিস্তিনি সমাজে এমন ঘটনা সত্যি বিরল৷ ফলে নির্বাচনে হার-জিতের চেয়ে প্রার্থী তালিকার গুরুত্বই আচমকা বেড়ে গেছে৷

আগামী ২০শে অক্টোবর পৌরসভা নির্বাচনে ১৫টি আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৬৬৷ তার মধ্যে একটি আসনে ১১ জন প্রার্থীই নারী৷ প্রার্থীদের মধ্যে মাইসুন কাওয়াসমে সাংবাদিক৷ বাকিরা ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাকাউন্টেন্ট, সামাজিক কর্মী, গৃহকর্ত্রী ইত্যাদি৷ হেব্রন শহরে কোনো নারীই কখনো পৌরসভায় নির্বাচিত হন নি৷ এবার সেই পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে৷ নির্বাচনী প্রচারে মাইসুন বলছেন, ‘‘সারা জীবন ধরে পুরুষরাই আমাদের জীবনের উপর কর্তৃত্ব করে গেছে৷ অথচ আমাদের জীবনযাত্রার মান ও পৌর কর্তৃপক্ষের পরিষেবার মানের শুধু অবনতি ঘটে চলেছে৷ এবার আমাদের, মানে নারীদের জিতিয়ে দেখুন৷ আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা অন্য রকম হবো, আরও ভালো কাজ করবো৷''

Hanan Aschrawi
হানান আশরাভিছবি: AP

হেব্রনের নারীদের এই উৎসাহ দেখে মুগ্ধ হানান আশরাভি৷ ফিলিস্তিনি রাজনীতিতে অন্য কোনো নারী এমন পরিচিতি পান নি৷ মাইসুনের কথা শুনে তিনি মনে করেন, এ যেন এক প্রাচীর ভেঙে পড়ছে৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ'কে তিনি বলেন, ‘‘মাইসুন একটি বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছেন৷ বলছেন, আমরা আছি, আমরা অবশ্যই পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবো৷''

মাইসুন কাওয়াসমে হেব্রনের বেশ নাম করা পরিবারের মেয়ে৷ যার ফলে তাঁর কিছুটা সুবিধাও হচ্ছে৷ ১৯৭৬ সালে শহরের প্রথম মেয়র তাঁরই আত্মীয় ছিলেন৷ পরিবারের অনেক সদস্য সাংসদ বা মন্ত্রী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন৷ তবে তাঁরা সবাই পুরুষ৷ এছাড়া শহরে মাইসুনকে বেশি লোক চেনে না৷ নির্বাচনী প্রচারের সময় সকলে তাঁর নাম-ধাম, পরিবারের কথা জানতে চায়৷ প্রার্থীদের চাচা-নানা-স্বামী কে, তা ভোটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ তারপর তাঁরা স্থির করেন, কাকে ভোট দেবেন৷

আরব সমাজের মানদণ্ডের হিসেবে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি এলাকা বেশ উদার ও খোলামেলা হিসেবে পরিচিত৷ কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী সালাম ফায়াদের মন্ত্রিসভার ২৩ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন নারী৷ এ ছাড়া আইন করে নারীদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ যে কোনো নির্বাচনে প্রতি ৫টি আসনের মধ্যে একটিতে কোনো নারীকে থাকতে হবে৷ তার পরেও রক্ষণশীলতার গণ্ডী পেরিয়ে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি নারীদের পক্ষে সক্রিয় হয়ে ওঠা সহজ নয়৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য