1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষ পুড়িয়ে মারলো দুর্বৃত্তরা

২১ মে ২০১৪

দিনদুপুরে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা আবারও ঘটলো বাংলাদেশে৷ মঙ্গলবার ফেনীতে প্রথমে গুলি, পরে ছুরিকাঘাত এবং শেষে জীবন্ত অবস্থায় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এক রাজনীতিবিদকে৷ ব্লগ ও ফেসবুকে এর নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে৷

https://p.dw.com/p/1C3qq
ছবি: Reuters

বাংলাদেশের ফেনী জেলায় মঙ্গলবার খুন হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক৷ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানিয়েছে, ‘‘হামলাকারীরা কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ এরপর তারা একরামকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷''

আগুনে পুড়ে রাজপথেই মৃত্যু হয় একরামের৷ ইতোমধ্যে তাঁর আগুনে পোড়া মরদেহের ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে এই বিষয়ে সাদাত হোসাইনের লেখার শিরোনাম ‘থুঃ মানুষ৷' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘আগুনে ঝলসানো শরীর৷ আগুনে পোড়া শরীর৷ একটা মানব শরীর৷ হ্যাঁ, একটা মানব শরীর৷ কিছু মানুষ মিলে বারবিকিউ বানিয়েছে!''

ফেসবুকে সাংবাদিক সওগত আলী সাগর এই বিষয়ে ফেনীর রাজনীতিবিদ জয়নাল হাজারীর একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যে এ (ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম) হত্যার সঙ্গে জড়িত, তার নাম কেউ বলার সাহস পাবে না৷ তবে নারায়ণগঞ্জের মতো সাংবাদিকরা সোচ্চার হলে সব রহস্যের জট খোলা যাবে৷ হত্যাকাণ্ডের সময় হত্যাকারীরা তিন স্তরে ছিল৷ তাদের অর্ধেকের মুখে মুখোশ ছিল, বাকি অর্ধেকের ছিল খোলা৷ এতে মনে হয় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের একটি অংশ স্থানীয়৷''

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারার ঘটনা এটাই প্রথম নয়৷ হরতাল, অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় যাত্রীবাহী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা আগে অনেকবার ঘটেছে৷ সর্বশেষ নির্বাচনের সময় বিষয়টি জনমনে তীব্র আতঙ্কও তৈরি করেছিল৷ সেসময় আমারব্লগে মাহবুবুল আলম লিখেছিলেন, ‘‘২৭ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ১ ডিসেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত এই এক মাস ৬ দিনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের চার দফা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে কম পক্ষে ৫৭ জন অসহায় নিরীহ মানুষের জীবন হারাতে হয়েছে৷''

এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘রাজনৈতিক অধিকারের নামে এসব ধ্বংসাত্মক ও সন্ত্রাসী কর্মসূচিতে ২৭ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনেই ককটেল, পেট্টোলবোমা, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ১৩ জন৷ ৪ নভেম্বর ২০১৩ থেকে ৬ নভেম্বরের হরতালে নিহত হয়েছে ৪ জন৷ ১০ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনের হরতালে নিহত হয়েছে ৪ জন৷ আর ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রায় লাগাতর হরতাল ও অবরোধে ২৭ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷''

উল্লেখ্য, একরামুলকে পুড়িয়ে হত্যার পেছনের কারা জড়িত কিংবা খুনের কারণ সম্পর্কে এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ৷ তবে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য