1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ?

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আবার জঙ্গিদের কারণে খবরে বাংলাদেশ৷ সিরিয়ায় মারা গেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক৷ আরেক সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের সাহায্য চেয়েছে থাইল্যান্ড৷ বাংলাদেশ কি সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে?

https://p.dw.com/p/1GUF0
Symbolbild islamistischer Kämpfer
ছবি: Fotolia/Oleg Zabielin

বাংলাদেশে জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের উত্থান নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে৷ ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে – আশঙ্কাজনক এ খবরটিও এসেছে বিশ্লেষণধর্মী লেখায়৷

বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের জঙ্গিবাদে জড়িত হওয়ার খবর নতুন কিছু নয়৷ তবে গত কয়েক মাসে এসেছে বড় বড় কিছু খবর৷ এ সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডেভিড ক্যামেরন জানান, সিরিয়ায় ড্রোন হামলায় দু'জন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি নিহত হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রুহুল আমিন৷ রুহুল আমিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক৷ টুইটারেও কেউ কেউ খবরটি শেয়ার করেছেন৷ সে খবরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ভিডিও-ও রয়েছে৷

এর আগেও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকের জঙ্গি সংগঠন আইএস-এ যোগ দেয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে৷ ব্রিটেনের গণমাধ্যম এ বছরই জানিয়েছিল, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক স্কুল পড়ুয়া কিশোরীর আইএস-এ যোগ দিতে গোপনে সিরিয়ায় চলে যাওয়ার খবর৷

ব্রিটিশ পত্রপত্রিকার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোরী শারমিনকে জঙ্গি সংগঠনের প্রতি আগ্রহি করে তোলায় একাত্তরের ‘যুদ্ধাপরাধী' চৌধুরী মইনুদ্দিনেরও পরোক্ষ ভূমিকা ছিল৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগও এ বিষয়ে তখন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

ব্রিটেনে সাড়া জাগানো এই দুটি খবরের পর ব্যাংককের মানুষও আতঙ্ক নিয়ে শুনছে বাংলাদেশের নাম৷ থাইল্যান্ডের পুলিশ মনে করছে গত ১৭শে আগস্ট ব্যাংককের হিন্দু মন্দিরে চালানো বোমা হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ পলাতক ব্যক্তিটিকে ধরার জন্য ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে থাইল্যান্ড৷

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ইঙ্গিত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খবরের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে৷ গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জঙ্গি সংগঠনে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে৷ ইদানীং বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের পক্ষে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও বহিষ্কার করা হয়েছে৷

বাংলাদেশে ব্লগারদের হত্যা করা হয়৷ হত্যার দায় ঘোষণা দিয়েই স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন৷ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে জঙ্গি সংগঠনের দু-একজন কর্মী গ্রেপ্তার করা ছাড়া ব্লগার হত্যা রোধে আর কোনো অগ্রগতি এখনো দেখা যায়নি৷

বরং মন্ত্রীর ভাতিজাও ব্লগার হত্যায় জঙ্গিদের সঙ্গী হয়েছে – এমন খবর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান সম্পর্কে অনেক সংশয়বাদীর সংশয়ও দূর করেছে৷

জঙ্গি সংগঠনগুলো এখন শুধু ব্লগার, শিক্ষক, সাংবাদিক বা যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে জড়িত আইনজীবীদেরই নয়, অন্যদেরও হত্যার হুমকি দিচ্ছে৷

বাংলাদেশে জঙ্গি অর্থায়নের উৎস এবং প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই লেখালেখি হচ্ছে৷

জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র উত্থানের ইতিহাসেও রয়েছে রাজনীতিতে ধর্মের নামে সন্ত্রাসকে মদদ দেয়ার যথেষ্ট প্রমাণ৷

বাংলাদেশ কি জঙ্গি এবং জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হয়ে যাচ্ছে না?

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য