1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশ চীন-পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকলে, তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে'

৩১ জুলাই ২০২০

মো. হারুনুর রশীদ মনে করেন, পাকিস্তান ও চীনের দিকে বাংলাদেশের কূটনীতি কিছুটা ঝুঁকছে, যা বাংলাদেশ ও বিশেষ করে আওয়ামী লিগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ৷ ডয়চে ভেলে বাংলার ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন৷

https://p.dw.com/p/3gFKO
Screenshot Video Khaled Muhiuddin Asks talkshow für Bangladesch 023
ছবি: DW

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কূটনীতিতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিএনপিদলীয় সাংসদ মো. হারুনুর রশিদ বলেন, এই প্রবণতা বাংলাদেশের পাশাপাশি আওয়ামী লিগের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হবে৷

ডয়চে ভেলের পাঠকদের একটি জরিপের অংশগ্রহণকারীদের অনেকে একই মত পোষণ করেন৷

তবে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত মনে করেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতি তার পররাষ্ট্রনীতি বদলায়নি৷ তারা নিজস্ব স্বার্থ মাথায় রেখেই সব দেশের সাথে তাদের কূটনীতি নির্ধারণ করছে৷'' রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এর ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে তাঁর মত৷

একই প্রসঙ্গে হারুনুর রশিদ বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এতদিন ধরে ছিল বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ব্র্যাকেটে বন্দি৷ বর্তমানে সেই সম্পর্ক হয়ে উঠেছে কেবল আওয়ামী লিগ ও ভারতের মধ্যের সম্পর্ক৷

ভারত-বাংলাদেশে কূটনৈতিক অসাম্যের বিষয়ে মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘‘ বাংলাদেশ সব দেশকে সমানের চোখে দেখে৷ ভারতের সাথে আমাদের ইতিহাস আছে, বিশেষ সখ্য আছে, তা সত্য, কিন্তু তার মানে এই না যে, আমরা স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছি৷ আর ভারতকে কেন, কোনো দেশকেই বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই৷ আর বাংলাদেশ ভয় পায়ও না৷''

আলোচনায় আরো উঠে আসে ভারতে বাড়ন্ত সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্ন, এবং সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান৷ পাশাপাশি উঠে আসে সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গও৷ মোহাম্মদ আরাফাতের বক্তব্য, ‘‘বিএনপি-জামাত আমলে সীমান্ত হত্যায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ বছরে গড়ে একশরও অধিক৷ ভারতকে কখনো সরাসরি এ বিষয়ে প্রশ্ন করেনি, কোনো আলোচনায় যায়নি৷ এখন সেই সংখ্যা বছরে ২৫-৩০ এ নেমে গেছে৷''

সাংসদ মো. হারুনুর রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় বর্তমান পরিস্থিতে বিএনপির রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের রাজনীতি ভারতবিরোধিতা নয়৷ ভারতের সাথে আমাদের বিশাল সীমান্ত৷ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু এখন ভারতে যা হচ্ছে (সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান) তা কংগ্রেস আমলে ছিলননা, মোদী আমলে তা হচ্ছে৷ ভারতের সরকারের পদক্ষেপের কারণে ওই দেশের সংখ্যালঘুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷''

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসায় ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তি যেভাবে বেড়েছে, বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশেও তা-ই হতো৷''

অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর জোর দেন দুই আলোচক৷ তবে দুজনই মনে করেন, দু দেশের সম্পর্কে কূটনৈতিকও বাণিজ্যিক সমতা থাকা উচিত৷

এসএস/এসিবি