1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশি তরুণকে অপহরণ, পশ্চিমবঙ্গে ‘জেএমবি সদস্য’ গ্রেপ্তার

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৯ মার্চ ২০২১

আসন্ন বিধানসভা ভোট নিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তখনই ফের জেএমবি যোগ পাওয়া গেল পশ্চিমবঙ্গে৷ এক বাংলাদেশিকে অপহরণ করে গ্রেপ্তার হলেন সন্দেহভাজন এক জঙ্গি৷

https://p.dw.com/p/3qsOt
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের নাগরিক, নেত্রকোণার বাসিন্দা হাফেজ মওলানা মহম্মদ মামুন উর রশিদ পেশায় ব্যবসায়ী৷ তাকে অপহরণের কারণে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় জনৈক মোক্তার হোসেন–কে৷ অসমের নগাঁও–এর বাসিন্দা মোক্তারের ফোন ঘেঁটে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা দেখে পুলিশের ধারণা, তার বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে৷

তবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মোক্তারকে জেরা করে জানায়, মোক্তার অসম বা পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি–র কোনো ‘‌স্লিপার সেল’–এর সক্রিয় সদস্য, নাকি জেএমবি জঙ্গির ভেক ধরে এই ধরনের অপহরণ করে চটজলদি কিছু টাকা কামাতে ব্যস্ত ছিল, সেটা তদন্তসাপেক্ষ৷

জানা যায়, মামুন উর রশিদ গত ৭ মার্চ মধ্যরাতে হঠাৎই নেত্রকোণার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷ পরে তিনি তাঁর ভাই এনামুল হক ফারুককে মোবাইল অ্যাপ মারফৎ জানান, তিনি এক ‘‌বন্ধু’র সঙ্গে দেখা করতে ভারত সীমান্তে এসেছেন৷ পরের দিন, ৮ মার্চ রশিদের ফোন থেকেই মেসেজ করে ফারুককে জানানো হয় যে, তার ভাইকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে৷ এরও তিন দিন পর চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা রশিদের একটি ছবি ফারুককে ফের পাঠানো হয়৷ ১৩ মার্চ ফারুক ঢাকা থেকে অনলাইনে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান৷ এরপরই তৎপর হয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স৷

গোপন খবরের সূত্রে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায় সোনারপুরের বৈদ্যপাড়া অঞ্চলে৷ উদ্ধার করা হয় রশিদকে, গ্রেপ্তার হয় মোক্তার৷ মোক্তারকে বারুইপুর পুলিশ আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এসটিএফ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য