বাংলাদেশে ২০১৮ সালে ‘গুলি করে হত্যার’ ঘটনা বেড়েছে
বাংলাদেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রেকর্ড ৪০৬ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে৷ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নতুন রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে৷
২০১৮ সাল (নভেম্বর পর্যন্ত), ৪০৬ জন
চলতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে ৪০৬ জনকে৷ নিহতদের মধ্যে ৩২১ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ৮৫ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এদের মধ্যে ২৬১ জন মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত৷ মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয় চলতি বছরের ৪ঠা মে থেকে৷
২০১৭ সালের চেয়ে তিনগুণ
চলতি বছর তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা গত বছরের প্রায় তিনগুণ৷ ২০০৫ সালে নিহত হয়েছিল ৩৫৪ জন, যা ছিল গত বছর পর্যন্ত সর্বোচ্চ৷ ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে নিহতের সংখ্যা ২০০’র নীচে ছিল৷ ২০০৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ২০১৩ সালে ‘গুলি করে হত্যা’র ঘটনা ছিল সবচেয়ে কম৷ সে বছর ৪২ জন নিহত হয়েছিলেন৷
২০১৭ সাল, ১২৬ জন
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে মোট ১২৬ জনকে৷ এদের মধ্যে ৯৭ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ২৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১৬ সাল, ১৫৯ জন
২০১৬ সালে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে মোট ১৫৯ জনকে৷ এদের মধ্যে ১২৩ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ৩৬ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১৫ সাল, ১৪৬ জন
এ বছর মোট ১৪৬ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৯৫ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ৫১ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১৪ সাল, ১২৮ জন
ঐ বছর মোট ১২৮ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৭৯ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১৩ সাল, ৪২ জন
ঐ বছর মোট ৪২ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়েছে৷ ৪০ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ২ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১২ সাল, ৫৮ জন
ঐ বছর মোট ৫৮ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়৷ ৫৭ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ১ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷
২০১১ সাল, ৬২ জন
২০১১ সালে মোট ৫৮ জনকে ‘গুলি করে হত্যা’ করা হয়৷ এদের মধ্যে ৬০ জনকে গ্রেপ্তারের আগে এবং ২ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যা করা হয়৷