1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীন’

২৩ জুন ২০১৬

‘স্টেট অ্যাক্টরের’ তরফ থেকে গণমাধ্যমের উপর বড় ধরনের হুমকি না থাকলেও ‘নন-স্টেট অ্যাক্টরের’ তরফ থেকে আছে, মনে করেন একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/1JBgG
বাকস্বাধীনতার প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa

‘‘বাকস্বাধীনতার প্রসঙ্গটি নানাভাবে আসে’’

ডয়চে ভেলের গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে সম্প্রতি জার্মানির বন শহরে আসেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ এ সময় ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা এবং সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেন মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল৷

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি নানাভাবে আসে৷ আমরা ‘স্টেট অ্যাক্টর' এবং ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর' যদি ভাগ করি, তাহলে দেখবো স্টেট অ্যাক্টরের দিক থেকে সাম্প্রতিককালে বড় ধরনের আক্রমণ গণমাধ্যমের উপর আছে এটা বলা যাবে না৷ কিন্তু নন-স্টেট অ্যাক্টরের দিক থেকে নানা ধরনের হুমকি আমরা প্রতক্ষ্য করি৷''

বাকস্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন আইনকানুন সংস্কারের বিষয়েও কথা বলেছেন বুলবুল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পুরনো আইনকানুন সংস্কার হচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও নতুন আইনের মধ্যে এমন সব ধারা সংযুক্ত হচ্ছে যেটা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত বোধ করি৷''

তবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরকারের সমালোচনা করতে পার বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতা বুলবুল৷ তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যম কথা বলতে পারে, সরকারের সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু নন-স্টেট অ্যাক্টরের দিক থেকে যেটা আছে, সেখানে কথা বলাও যায় না, শোনাও যায় না, তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়৷ আর তাই, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আমরা আংশিক স্বাধীন বলি৷''

সম্প্রতি ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্টদের উপর হামলাকে নন-স্টেট অ্যাক্টরের কাজ বলে মনে করেন করেন বুলবুল৷ তিনি বলেন, ‘‘মেয়েদের বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান কাভার করতে যেতে মানা করা হচ্ছে, এগুলো হচ্ছে নন-স্টেট অ্যাক্টরের কাছ থেকে আমরা হুমকিটা পাচ্ছি৷'' মানুষের মত প্রকাশের উপর হামলা প্রতিরোধে সরকারের সাফল্যের মাত্রা খুব বেশি নয় বলে মনে করেন এই সাংবাদিক নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার নিজের নামও নন-স্টেট অ্যাক্টরদের হত্যার তালিকায় আছে৷''

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা আখ্যা দিয়ে বুলবুল বলেন, ‘‘আমরা সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি৷ এবং দুঃখজনকভাবে আমাদের একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উচ্চতর আদালতে স্বীকার করলো, যে তারা এটা (খুনিদের শনাক্ত) করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ কিন্তু সেই ব্যর্থতার জন্য সংস্থাটিকে কোনোভাবে বিচারের বা জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা গেল না৷''

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য