1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাভেরিয়ার ‘ভূমিকম্প' নাড়িয়ে দিল বার্লিনকে

১৫ অক্টোবর ২০১৮

জার্মানির দক্ষিণে বাভেরিয়া রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল ম্যার্কেল সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুললো৷ শরণার্থী ও অভিবাসনকে মূল বিষয় হিসেবে তুলে ধরে ক্ষমতাসীন সিএসইউ দলের ভরাডুবি ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/36Xm2
Kiel Deutschlandtag der Jungen Union | Angela Merkel
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Rehder

১৯৫০ সাল থেকে বাভেরিয়া রাজ্যে ‘রাজত্ব' করে এসেছে খ্রিস্টান সোশাল ইউনিয়ন বা সিএসইউ দল৷ জার্মানির জোট সরকারেরও শরিক এই দল৷ রবিবারের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি সেই ধারা ভেঙে দিল৷ অভূতপূর্ব খারাপ ফলাফল করে এক ধাক্কায় দুর্বল হয়ে পড়লো সিএসইউ৷ সবচেয়ে বড় দল হিসেবে টিকে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বার্থে তাদের জোট সরকার গঠন করতে হবে৷ ‘ফ্রাইয়ে ভেলার' বা মুক্ত ভোটার নামের আঞ্চলিক দল অথবা সবুজ দলের সঙ্গে সেই লক্ষ্যে আলোচনা করতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার ‘ফ্রাইয়ে ভেলার' দলের সঙ্গেই সরকার গঠন করতে চান৷ উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে সবুজ দল৷ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷

বাভেরিয়ার নির্বাচনে সিএসইউ দলের তুলনায় আরো খারাপ করেছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল৷ ফলে বার্লিনে জোট সরকারের দু-দুটি শরিক দল এক ধাক্কায় বেশ দুর্বল হয়ে পড়লো৷ দুই সপ্তাহ পর হেসে রাজ্যের নির্বাচনে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলও যদি খারাপ ফল করে, সে ক্ষেত্রে সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে৷ দলের নেত্রী হিসেবে ম্যার্কেল আদৌ টিকে থাকতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে৷

জোট সরকারে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত এসপিডি দলের মধ্যে শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল৷ বাভেরিয়ায় ভরাডুবির পর দলের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধীরা আরো সোচ্চার হয়ে উঠবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ এসপিডি সরকারের শরিক হয়ে সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক পদক্ষেপ তরান্বিত করলেও ভোটারদের মনে সেই ‘সাফল্য' কিছুতেই ধরছে না৷ তাই একের পর এক নির্বাচনে দল সমর্থন হারাচ্ছে৷ হেসে রাজ্যেও সেই প্রবণতা বজায় থাকলে জোট ত্যাগ করার জন্য দলের মধ্যে চাপ আরো বাড়বে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

অর্থাৎ, বাভেরিয়ায় জোরালো ধাক্কার বিশ্লেষণ করতে আপাতত ব্যস্ত থাকবে সরকারের তিন শরিক দল৷ সিএসইউ দলের ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে দলের শীর্ষ নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার সম্ভবত বিদায় নিতে বাধ্য হবেন৷ ফলে ম্যার্কেল কিছুটা স্বস্তি পাবেন বটে, কিন্তু সরকার ও দলের প্রধান হিসেবে তাঁর বেড়ে চলা দুর্বলতা কাটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল তাদের সাফল্য বজায় রেখেছে৷ ১০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে এই প্রথম তারাবাভেরিয়ার রাজ্য বিধানসভায় প্রবেশ করতে চলেছে৷ তবে দলের নেতারা আরো বেশি সমর্থন আশা করেছিলেন৷ শরণার্থী সংকট ও অভিবাসনকে কেন্দ্র করে তারা নির্বাচনি প্রচার চালালেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট পায়নি সেই দল৷ সিএসইউ দলও একই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে সমর্থন হারিয়েছে৷ ফলে বাভেরিয়ার নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সবুজ দলের নেত্রী আনালেনা ব্যেরবক৷ তিনি বলেন, গোটা দেশের জন্য এটা অত্যন্ত ভালো লক্ষণ৷ বাভেরিয়ার ভোটররা ধীরস্থির হয়ে মানবাধিকার ও মানবতার পক্ষে রায় দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, উগ্র দক্ষিণপন্থি ভাবধারার পরাজয় ঘটেছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য