1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস ‘স্কাউট’-এর বিচার শুরু

৪ জানুয়ারি ২০১৭

১৯ বছর বয়সি সিরীয় তরুণ শাস আল এম-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর হয়ে বার্লিনে বিভিন্ন আক্রমণের লক্ষ্য যাচাই করেছে৷ শাস ২০১৫ সালে উদ্বাস্তুদের সঙ্গে জার্মানিতে আসে৷

https://p.dw.com/p/2VEgX
Deutschland Generalbundesanwaltschaft
জার্মানির ফেডারাল আদালত ও ফেডারাল সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck

বুধবার বার্লিনের একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালতে শাস-এর বিচার শুরু হয়েছে৷ ‘শাস’ অভিযুক্ত যুবকের প্রথম নাম৷ জার্মান প্রথা অনুযায়ী অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার আগে সাধারণত পারিবারিক নাম প্রকাশ করা হয় না৷

শাস আল-ম. উদ্বাস্তু হিসেবে জার্মানি এসে পৌঁছায় ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে, যখন সিরিয়া, ইরাকের মতো সংকটপীড়িত দেশগুলি থেকে বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তু জার্মানি এসে পৌছান৷

শাস-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে জার্মানিতে আসার আগে স্বদেশে দু'বছর ধরে আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করেছে৷ সে কালাশনিকভ মেশিন গান চালাতে জানে ও অন্যান্য আইএস জঙ্গিদের রসদ ও সাজসরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে৷

জার্মানি পৌঁছানোর পরেও শাস আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ রাখে এবং দৃশ্যত সন্ত্রাসের লক্ষ্য হিসেবে প্রায়ই বার্লিনে গিয়ে ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণ বা রাইখসটাগ সংসদ ভবন সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়৷ পরে সে ‘‘সম্ভাব্য আক্রমণের লক্ষ্য সম্পর্কে তথ্যসমূহ আইএস-এ তার পরিচিতদের কাছে পাঠিয়েছে’’ বলেও আদালতের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷

এছাড়া অন্তত একজন ব্যক্তিকে যোদ্ধা হিসেবে সিরিয়ায় পাঠিয়েছে এবং জার্মানিতে সম্ভাব্য আক্রমণকারীদের জন্য যোগাযোগের ব্যক্তি হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে বলেও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে৷

আনিস আমরির পরিচিতদের বাড়িতে পুলিশি অভিযান

১৯ শে ডিসেম্বর বার্লিনের একটি বড়দিনের বাজারে ট্রাক আক্রমণের আততায়ী তার চারদিন পরে ইটালির মিলান শহরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়৷ তখন থেকেই জার্মানিতে তার পরিচিত ব্যক্তি ও সম্ভাব্য সাহায্যকারীদের খোঁজ চলছে৷

তারই সূত্রে ইতিপূর্বে বার্লিনের এক ৪০ বছর বয়সি টিউনিশীয়কে গ্রেপ্তার করে একদিন পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ মঙ্গলবার জার্মান পুলিশ একটি উদ্বাস্তু নিবাস ও বার্লিনের একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয়৷ উদ্বাস্তু নিবাসে বসবাসরত এক ২৬ বছর বয়সি টিউনিশীয় নাকি আমরিকে অন্তত ২০১৫ সাল থেকে চিনতো ও ২৯শে ডিসেম্বরের আক্রমণের স্বল্প আগেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল৷ এই ব্যক্তি ‘‘আক্রমণের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানত ও সম্ভবত আনিস আমরিকে সাহায্য করেছিল,’’ বলে ফেডারাল কৌঁসুলির দপ্তরের ধারণা৷

তদন্তকারীরা যে ফ্ল্যাটটি তল্লাস করেন, সেটি আমরির এক সঙ্গীর বাসা৷ তার ক্ষেত্রেও আমরির সঙ্গে যোগাযোগের, এমনকি বড়দিনের বাজারের উপর আক্রমণে সাহায্য করার সন্দেহ আছে৷

উভয় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর কিছু জানায়নি৷

এসি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য