1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে জেমস বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেগ

৭ জানুয়ারি ২০১২

সুইডেনের বিখ্যাত লেখক স্টিগ লারশন’এর মিলেনিয়াম ট্রিলজি উপন্যাসের অন্যতম ‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু’ চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়েছে ২০০৯ সালে৷ এবং তা সুইডেনে৷ এবার হলিউডের রিমেক৷ এবং মূল চরিত্রে ড্যানিয়েল ক্রেগ৷

https://p.dw.com/p/13fDq
Actor Daniel Craig appears on the NBC "Today" television show in New York Tuesday Jan. 13, 2009. (AP Photo/Richard Drew)
ড্যানিয়েল ক্রেগছবি: AP

এই হলিউড সংস্করণের পরিচালক হলেন ডেভিড ফিনচার৷ বার্লিনে তারই প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা হলো ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেমস বন্ড খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগ আর অভিনেত্রী রুনি মারা৷ অসাধারণ রকমের দক্ষ এক কম্পিউটার হ্যাকার মেয়ে লিজবেথ সালান্ডার এবং সাংবাদিক মাইকেল ব্লুমকোভিস্ট - এই দুটি চরিত্রে দেখা যাবে ড্যানিয়েল ক্রেগ এবং রুনি মারাকে৷

স্টিগ লারশন'এর বেস্ট সেলার মিলেনিয়াম ট্রিলজি - দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু, দ্যা গার্ল হু প্লেইড উইথ ফায়ার এবং দ্যা গার্ল হু কিকড দ্যা হরনেস্টস নেস্ট বাজারে আসে৷ তিনটি পর্বে বাঁধা এক গোয়েন্দা কাহিনী৷

বার্লিনে ‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু' ছবির প্রিমিয়ার শো উপলক্ষ্যে ড্যানিয়েল ক্রেগ এবং রুনি মারা এই ছবি নিয়ে কথা  কথা বলেন৷ রুনি মারাকে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুল কাটতে হয়েছে, নাকে কানে দুল পরতে হয়েছে এবং বেশ ভালভাবেই মোটর সাইকেল চালানো শিখতে হয়েছে৷ 

FILE - In this Jan. 19, 2009 file photo, actress Rooney Mara of "The Winning Season" poses for a portrait at the Gibson Guitar Lounge during the Sundance Film Festival in Park City, Utah. (AP Photo/Mark Mainz, file)
রুনি মারাছবি: AP

প্রথম পর্ব এবং প্রথম বই হল দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাট্টু৷ লিজবেথ সালান্ডার দুর্নীতি, মাফিয়া এবং বিভিন্ন সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়, কিন্তু গোপনে৷ সে অসাধারণ এক হ্যাকার৷ দুর্ভেদ্য যে কোন কোড লিজবেথ ভাঙতে পারে কয়েক ঘণ্টায়৷ কিন্তু একা সম্ভব নয়৷ তার সাহায্যের প্রয়োজন৷ এগিয়ে আসে সাংবাদিক মাইকেল ব্লুমকোভিস্ট৷ দুজনে মিলে খুঁজতে থাকে সুইডেনের একটি পরিবারের কালো অতীতকে৷ একসময় দেখা যায় লিজবেথের নিজের বাবাই হল এক সময়ের মাফিয়া বস৷ এবং তার বাবা এখনো কল-কাঠি নাড়ছে৷ লিজবেথ তাকে থামাতে চায়৷

ছবির পরিচালক ডেভিড ফিনচার জানান,‘‘গল্পটি আমার কাছে অন্যরকম মনে হয়েছে৷ আমার ভাল লেগেছে৷'' কিন্তু এ ধরণের রিমেক ছবি হলিউডের দর্শকরা কীভাবে গ্রহণ করবে? বলা প্রয়োজন, ডেভিড ফিনচার সবসময়ই একটু ভিন্ন ধরণের ছবি তৈরি করেছেন৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, ফাইট ক্লাব, সেভেন, দ্যা কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন-এর মত অসাধারণ কিছু ছবি আমরা পেয়েছি৷ তিনি জানান,‘‘দ্যা গার্ল উইথ দ্যা ড্রাগন ট্যাটু গল্পে এক ধরণের বিকৃতি আছে৷ আমাকে এ ধরণের কাহিনী সবসময়ই আকৃষ্ট করে৷ পৃথিবীর সব ঘটনাই ইতিবাচক, সবকিছু হাসি-খুশিতে ভরা – এসব আমাকে টানে না৷ আমি সবসময়ই ভিন্ন কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করি৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমি জুরাসিক পার্কের মত ছবি তৈরিতে আগ্রহী হব না৷''

তবে ফিনচার জানিয়েছেন, তিনটি গল্পকে হয়তো তিনি দুটি ছবিতে নিয়ে আসবেন৷ আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই মুক্তি পাচ্ছে প্রথম পর্ব – ‘ড্রাগন ট্যাট্টু'৷  

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য