1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিনে স্লোভাকিয়ার খাবার

৬ জুলাই ২০১৮

বিদেশের মাটিতে দেশের খাবার, সংস্কৃতি নির্ভেজাল রূপে তুলে ধরার সুযোগ সবাই পায় না৷ স্লোভাকিয়ার দুই নারী বার্লিনে একটি রেস্তোরাঁ খুলে এমনই আয়োজন করেছেন৷ ছোটবেলা থেকেই দু'জনের রান্নার শখ৷

https://p.dw.com/p/30v5a
ছবি: Lena Ganssmann

ভান্ডা মোলনার ও সিলভিয়া পিন্টেরোভা বার্লিনে নিজেদের দেশ স্লোভাকিয়ার খাবারের এক রেস্তোরাঁ খুলেছেন৷ ভান্ডা বলেন, ‘‘স্লোভাকিয়ার কথা ভাবলে প্রথমেই পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা করে৷ খোলা আকাশের নীচে গাছের তলায় বসে ভালো ওয়াইন খেতে মন চায়৷ আর দানিয়ুব নদীর দিকে তাকিয়ে থাকার তুলনাই হয় না৷’’

বার্লিন শহরেও এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন তিনি৷ একটি বাড়ির সেলারে প্রথাগত রেস্তোরাঁর বদলে বড় টেবিলকে ঘিরে এক মিলনস্থল গড়ে তোলা হয়েছে৷

সপ্তাহে ৫ দিন সন্ধ্যায় ভান্ডা ও সিলভিয়া গ্রাহকদের স্বাগত জানান৷ তাঁরা ভালো খাবার ও ওয়াইন পরিবেশন করে অজানা অচেনা মানুষদেরও পরস্পরের কাছাকাছি আনতে চান৷ প্রতি সপ্তাহে নতুন তিন পদের খাদ্যতালিকা পরিবেশন করেন তাঁরা৷ ভান্ডা মোলনার বলেন, ‘‘এখানে সময় বা কালই মূল বিষয়৷ এটাই আসলে আমাদের পণ্য৷ আজকাল সবাই মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের পর্দায় সবকিছু দ্রুত সেরে ফেলার চেষ্টা করেন৷ অন্যদিকে আমরা কিছুটা শান্তি আনার, সবকিছুর গতি কমানোর চেষ্টা করছি৷ শুধু ভোগ করার বদলে নিজেদের সম্পর্কে উপলব্ধি জাগিয়ে তুলতে চাইছি৷’’

রেস্তোরাঁর দুই মালিক ‘স্লো ফুড’ রান্না করেন৷ অর্থাৎ চেনাশোনা মানুষের কাছ থেকেই তাঁরা রান্নার উপকরণ কেনেন৷ সেগুলি কোথা থেকে আসছে, সেটা জানা তাঁদের জন্য জরুরি৷ অনেক উপকরণ স্লোভাকিয়া অথবা বার্লিনের আশেপাশের এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়৷ সঙ্গে যে ওয়াইন পরিবেশন করা হয়, সেগুলি কোনো জটিল প্রযুক্তি ছাড়াই অরগ্যানিক পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে৷ সিলভিয়া বলেন, ‘‘স্লোভাকিয়ার খাদ্য প্রকৃতির খুব কাছাকাছি৷ উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বেশ তফাত রয়েছে৷ উত্তরে বেশি আলুর পদ, সঙ্গে চিজ ও মাংস খাওয়া হয়৷ আর দক্ষিণে শাকসবজি ও মাংস বেশি করে খাওয়া হয়৷’’

১৯৭৬ সালে স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিস্লাভায় সিলভিয়ার জন্ম হয়েছিল৷ ভান্ডা মোলনারও প্রায় সমবয়সি, ২০০০ সাল থেকে তিনি বার্লিনে বসবাস করেন৷ স্লোভাকিয়ায় দু'জনের আলাপ হয়েছিল৷ দু'জনেই বুঝেছিলেন, যে তাঁদের শৈশবে প্রায় একই অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ দু'জনেই কম বয়স থেকেই রান্না করতে ভালবাসেন৷ ভান্ডা মোলনার বলেন, ‘‘দাদির কাছে থেকে মানুষ হয়েছিলাম৷ খেলনার বদলে হাতে ময়দার তাল থাকতো৷ সে সব নিয়েই খেলা করতাম৷ রান্নাঘরই ছিল আমার খেলার ঘর৷ যতদূর জানি, সিলভিয়ারও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে৷’’

স্লোভাকিয়ার এই দুই নারী বার্লিনের প্রায় কেন্দ্রস্থলে ক্রয়েৎসব্যার্গ পাড়ায় থাকেন ও কাজ করেন৷ সেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মিলনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ ২০১৪ সালে সেখানেই তাঁরা এক রেস্তোরাঁ খোলেন৷ স্লোভাকিয়ার আড্ডার সংস্কৃতির সঙ্গে মানুষের পরিচয় করিয়ে দেওয়াই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য৷ সিলভিয়া পিন্টেরোভা বলেন, ‘‘আজ তোমাদের জন্য ভেড়ার দুধের চিজ দিয়ে পিঠা তৈরি করেছি৷ স্লোভাকিয়ার চিরায়ত খাদ্যের মধ্যে পড়ে৷ ভালো করে খান৷’’

স্টেফানি ড্রেশার/এসবি