1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফোনালাপ' তদন্ত করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ফোনালাপের একটি অডিওসহ খবর প্রকাশ করেছে থাইল্যান্ড ভিত্তিক এশিয়ান ট্রিবিউন৷

https://p.dw.com/p/3A38b
Bangladesch BNP Protest für Freilassung von Khaleda Zia
ছবি: Bdnews24.com

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷

ইংরেজিতে ওই কথোপকথনের অডিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে৷ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমও অডিওসহ খবরটি প্রকাশ করেছে৷ এশিয়ান ট্রিবিউন দাবি করেছে, মেহমুদ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ তাদের দাবি, মেহমুদ নামের ওই ব্যক্তি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-র  একজন কর্মকর্তা৷ তাদের কাছে সাত মিনিটের ওই কথোপকথনের অডিও আছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমটি৷

ইংরেজিতে ওই কথোপকথনে ভীষণ সমস্যায় থাকার কথা বলে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে মেহমুদের সহায়তা চাওয়া হয়৷ এজন্য চীনকে ম্যানেজ করার অনুরোধও জানানো হয়৷ মেহমুদ জবাবে চীন যাতে বিএনপিকে সহায়তা করে, তার প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান৷ তারা পরস্পরকে বন্ধু বলে সম্বোধন করেন এবং আগে ইসলামাবাদে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা স্মরণ করেন৷

‘আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি’

মেহমুদকে আরো জানানো হয় , তার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্দ করে রেখেছে৷ অনেক মামলা দিয়েছে৷ যদি দেশ থেকে বের হতে পারেন, তাহলে মেহমুদের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন৷ আর মেহেমুদ জানান, ঢাকায় তার লোক তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে৷

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন তার নির্বাচনি এলাকা কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আছেন৷ খবরটি প্রকাশ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে৷

মামলাটি করেছেন দাউদকান্দি আসনে খন্দকার মোশাররফের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে ও দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন৷

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগটি পাওয়ার পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি৷ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আমলে নিতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের অমুমোদন লাগে৷ আমরা এরই মধ্যে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি৷ তাঁরাও উপরে যোগাযোগ করেছেন৷ আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও মামলা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে৷''

‘মামলা মামলার মতো চলবে’

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এই পর্যায়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের কোনো সুযোগ নেই৷''

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আইএসআই-এর সঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অডিও কথোপকথন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি৷ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না৷ মামলা হয়েছে, মামলা মামলার মতো চলবে৷''

আইএসআই-এর সঙ্গে কথিত এই কথোপকথন শুধু দু'জনের ব্যাপার না, এর আর কোনো বিস্তৃত রূপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অনেক কিছুই হতে পারে৷ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়ও আছে৷  কিন্ত তা-ও তদন্ত শেষ হলেই বলা যাবে৷ তদন্ত আগে শেষ হোক, তারপর দেখা যাবে৷''

খন্দকার মোশররফ হোসেন এরইমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়েছেন৷ বিবৃতিতে তিনি  দাবি করেন ওই অডিওটি বানানো৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘আমি মেহমুদ নামে কোনো পাকিস্তানি ব্যক্তিকে চিনিনা, আইএসআই-এর কারো সঙ্গে আমার পরিচয় নেই৷ ওই নামে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আমার টেলিফোনে কথা হয়নি৷''

‘আইএসআই-এর কারো সঙ্গে আমার পরিচয় নেই’

কথোপকথনের বিষয় উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয় যে, ওইসব বিষয় নিয়ে তিনি টেলিফোনে কারো সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা৷ জবাবে তিনি বলেন,‘‘ অডিওটি আমার শোনার সুযোগ হয়নি৷ এ নিয়ে আমি কারো সঙ্গে কোনো কথা বলিনি৷ এটা ম্যানুফ্যাকচার্ড৷''

তিনি দাবি করেন, ‘‘নির্বাচনের সময় আমাকে নানাভাবে ডিস্টার্ব ও হয়রানি করার জন্যই এসব করা হচ্ছে৷ আজও (বৃহস্পতিবার) আমার একটি নির্বাচনি ক্যাম্পে কিছু হয়নি, তারপরও ক্যাম্প তুলে দেয়া হয়েছে৷ মামলা হয়েছে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ওই অডিও'র ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি৷ মামলার আবেদন করা হয়েছে৷ আর সেটা করেছেন আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছেলে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য