1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত ফিলিস্তিনি

৩০ ডিসেম্বর ২০১৭

শুক্রবার গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে যখন পাথর ও হাতবোমা ছুড়ছিল, তার জবাবে ইসরায়েলি সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায়৷ এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি৷

https://p.dw.com/p/2q7ob
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী
ছবি: Reuters/M. Torokman

শুক্রবার পশ্চিমতীর ও গাজায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি৷ ‘জেরুসালেম হবে ইসরায়েলের রাজধানী' - ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার ‘বিক্ষোভের দিন' ঘোষণা করেছিল ফিলিস্তিনিরা৷ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে৷ ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি৷

ইসরাইলের এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত চার হাজার বিক্ষোভকারী শুক্রবার সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল৷ বিক্ষোভকারীরা আগুন বোমা, পাথর এবং টায়ারে আগুন লাগিয়ে তাদের দিকে ছুড়ে মারছিল৷ তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত্র করতে তারা কেবল কাদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন৷ তবে আরো কয়েকজন সেনা গুলি ছোড়ার কথাও স্বীকার করেছেন৷ তারা স্বীকারোক্তি হিসেবে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা যখন সীমান্তের বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল, তখন তারা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন৷

গাজায় বিক্ষোকারীদের স্লোগান ছিল - ‘অ্যামেরিকা নিপাক যাক, ইসরায়েল নিপাক যাক, ট্রাম্পের মরণ হোক৷' ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তাদের লক্ষ্য করে জঙ্গি সংগঠন হামাস রকেট ছোড়ার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং বিমান বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে৷'

 ডিসেম্বরের ৬ তারিখে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন ফিলিস্তিনি৷ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শুধু ফিলিস্তিনিরাই নন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছেন৷

 ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। জাতিসংঘের ১৯৩ জন সদ্যের মধ্যে ১২৮ জন এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন৷ ৯ জন এর বিপক্ষে ভোট দেন।

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)