1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপি নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ

১৩ জুলাই ২০২০

উত্তরবঙ্গে এক বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3fE3O
ছবি: DW/A. Anil Chatterjee

ফের এক বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু। যা ঘিরে সোমবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। বিজেপির দাবি, উত্তরবঙ্গের হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে খুন করা হয়েছে। তবে এলাকার তৃণমূল নেতাদের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সোমবার সকালে হেমতাবাদে তাঁর বাড়ির কাছেই একটি দোকান থেকে দেবেন্দ্রবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, রাত একটা নাগাদ বাইকে করে কয়েকজন এসেছিল বাড়িতে। তারাই ডেকে নিয়ে যায় দেবেন্দ্রবাবুকে। সকাল পর্যন্ত বিধায়ক বাড়ি ফেরেননি। এলাকায় খবর রটে যাওয়ার খানিক পরে স্থানীয় দোকান থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি দেবেন্দ্রবাবুর ঝুলন্ত দেহের একটি ছবি দেখিয়ে দাবি করছে, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধায়ককে। কারণ গলায় দড়ির পাশাপাশি তাঁর একটি হাতও দড়িতে বাঁধা ছিল। প্রশাসন অবশ্য এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। দেহের ময়নাদতদন্ত হচ্ছে।

কেন্দ্রীয়. সরকারের প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা দেবশ্রী চৌধুরী সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। বিজেপির একাধিক নেতা এবং সাংসদ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এলাকায় প্রতিবাদ সভা এবং বিক্ষোভ কর্মসূচিও শুরু করেছেন তাঁরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। একজন বিধায়ক যদি এ ভাবে খুন হন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বোঝাই যায়।'' বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও টুইট করে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। দিলীপবাবু ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, গোটা রাজ্য জুড়ে এই খুনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বিজেপি। তাঁর বক্তব্য, ''এর আগে পুরুলিয়ায় ঠিক এ ভাবে বিজেপি কর্মীদের খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আর এ ঘটনা মেনে নেব না।''

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে হেমতাবাদ থেকে জিতেছিলেন দেবেন্দ্রবাবু। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের রাজ্য স্তরের কোনও নেতা এখনও পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। প্রশাসনও মুখে কুলুপ এঁটেছে।

এসজি/জিএইচ (আবপ)