1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অভিযোগ

১ নভেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশকেই দুষছে সেদেশের সরকার৷ তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে, তা বন্ধ হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করছে৷

https://p.dw.com/p/2mqcS
ছবি: DW/ P. Vishwanathan

আগস্টের শেষ থেকে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের জের ধরে রাখাইন থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি'র মুখপাত্র জাও তায় বলেছেন, ‘‘৯০-এর রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন চুক্তি অনুযায়ী, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পুরোপুরি প্রস্তুত৷’’ তিনি জানান, ‘‘বাংলাদেশ এখনও সেই চুক্তির সব শর্ত মেনে নেয়নি৷’’ এ কারণে পুরো প্রক্রিয়া বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্টেট কাউন্সিল মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জাও তায়৷ সেখানে তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি তালিকা পাঠানোর কথা বাংলাদেশের, সেটির জন্য অপেক্ষা করছেন তারা৷

জাও তায় বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশ সম্প্রতি ৪০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা পেয়েছে রোহিঙ্গাদের কারণে৷ আমাদের আশঙ্কা, আরও অর্থ সহায়তা পাওয়ার আশায় রোহিঙ্গাদের ফেরত দিতে দেরি করছে তারা৷’’ বুধবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র গ্লোবাল নিউ লাইটের প্রথম পাতার প্রতিবেদনে তার এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে৷

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অক্টোবরের শুরুতে ঢাকায় দুই দেশের বৈঠকে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়৷ এরপর মাসের শেষে মিয়ানমারে যান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷ সেখানে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কোফি আনান কমিশনের সুপারিশের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ ১০ দফা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়৷

বাংলাদেশ সরকার গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ওই দশ দফা প্রস্তাবের বিষয়ে মিয়ানমার এখনও সম্মতি দেয়নি৷ গত শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আরো আলোচনা করতে ৩০শে নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমারে যাবেন৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)