1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশিদের মিয়ানমার সফরের আহ্বান সু চি-র ঘনিষ্ঠ সহযোগীর

৪ নভেম্বর ২০১০

সামরিক শাসিত মিয়ানমারের মানুষের দুর্দশা নিজের চোখে দেখার জন্যে বিদেশিদেরকে মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি-র একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী৷ ব্রিটিশ সংবাদপত্র টাইমস বৃহস্পতিবার এই খবর দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PySi
এই বাড়িতেই গৃহবন্দি সু চিছবি: AP

বিদেশি, মিয়ানমার, সামরিক শাসিত মিয়ানমারের মানুষের দুর্দশা নিজের চোখে দেখার জন্যে বিদেশিদেরকে মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা অং সান সু চি-র একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী৷ ব্রিটিশ সংবাদপত্র টাইমস বৃহস্পতিবার এই খবর দিয়েছে৷

ব্রিটিশ পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা উইন টিন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি ভালো করে জানার জন্যে বিদেশিদের প্রতি মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানিয়েছেন দলের পক্ষ থেকে৷ তবে এনএলডি, এর আগে মিয়ানমারে পর্যটন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিল৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাই বিদেশিরা মিয়ানমার সফর করুক, তবে জান্তাকে সাহায্য করতে নয়, বরং মিয়ানমারের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং নৈতিক অবস্থাসহ সব কিছু দেখে পরিস্থিতি বোঝার জন্যেই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷'' নির্বাচনের ঠিক তিনদিন আগে উইন এই আহ্বান জানালেন৷ আমরা জানি, ১৯৯০ সালে সু চি-র দল নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করলেও, তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি জান্তা সরকার৷ আর তারপরে কুড়ি বছরের মধ্যে এই প্রথম দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷

Aung San Suu Kyi Flash-Galerie
ছবি: picture-alliance/ dpa

এদিকে মিয়ানমারের নির্বাচন নিয়ে, সেদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আ্যান্ড্রু হিয়েন, এই আসন্ন নির্বাচনকে ‘‘খারপভাবে সুযোগ হারানো'' বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের কোন আশা নেই৷ ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ব্রিটেন এবং ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মিয়ানমারের অগ্রগতির জন্যে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাবে৷

এছাড়া, চীন মিয়ানমারের নির্বাচনের ব্যপারে বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘স্মুথ ইলেকশন' অর্থাৎ মিয়ানমারে একটি ঝামেলাবিহীন নির্বাচন হবে বলেই তারা আশা করছে৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেছেন, ‘‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং একটি ঝামেলাহীন নির্বাচন, মিয়ানমারের জনগণের মৌলিক স্বার্থেই প্রয়োজন৷'' তিনি বলেন, ‘‘মিয়ানমারের জনগণের উন্নয়নের পথে তাদের স্বতন্ত্র পছন্দকে চীন শ্রদ্ধা করে আসছে৷ এবং একই সঙ্গে আশা করছে, মিয়ানমারে একটি ঝামেলামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং পাশাপাশি দেশটিতে অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে৷''

এই নির্বাচনেও সু-চি-র প্রার্থীতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এবং তাঁর দল এনএলডি-ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান করেছে৷

প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক