1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুশাররফের দেহ ৩দিন ঝুলিয়ে রাখার আদেশ

২০ ডিসেম্বর ২০১৯

পারভেজ মুশাররফকে শুধু মৃত্যুদণ্ডই দেয়নি পাকিস্তানের আদালত, বরং স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা সাবেক এ সামরিক শাসক যদি বিদেশে মারা যান, তাহলে তার দেহ ইসলামাবাদে পার্লমেন্টের সামনে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশও দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3V8Qb
Pakistan l Ehemaliger Präsident Pervez Musharraf
ছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi

পেশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ গত মঙ্গলবার অভিনব এ আদেশ দেয়ার পর পাকিস্তান জুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে৷

২০০৭ সালের নভেম্বরে অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মুশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা মুশাররফ এখন দুবাইতে বসবাস করছেন৷ তাই রায় ঘোষণার পর জনমনে প্রশ্ন ছিল কিভাবে তা কার্যকর হবে বা আদৌ রায় বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা৷

বৃহস্পতিবার ১৬৭ পাতার ওই রায়ের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে ওইসব প্রশ্নের উত্তর থাকলেও শুরু হয় নতুন বিতর্ক৷

কারণ, রায়ের এক অংশে অভিনব এক আদেশ দেয়া হয়েছে৷ বলা হয়, যদি মুশাররফকে জীবিত ধরা সম্ভব না হয় বা সাজা কার্যকরের আগেই তার মৃত্যু হয় সেক্ষেত্রে ‘মৃতদেহ রাজধানী ইসলামাবাদের ডি-চক-এ নিয়ে গিয়ে তিনদিন ঝুলিয়ে রাখা (উচিত) হবে৷'' দেশটির পার্লামেন্টের বাইরেই ডি-চক এলাকা৷

একইসঙ্গে আদালত দেশটির সবগুলো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে চিকিৎসার নামে দুবাইয়ে থাকা মুশাররফকে গ্রেপ্তার করার সব রকমের চেষ্টা চালানোর নির্দেশও দিয়েছে৷ 

পারভেজ মুশাররফের মৃত্যুদণ্ড

মৃতদেহ তিনদিন ঝুলিয়ে রাখার আদেশ প্রতীকী হলেও এটা সম্পূর্ণরূপে সংবিধানবিরোধী বলছেন আইন বিশেষজ্ঞরা৷ মুশাররফের আইনজীবীরা আগেই এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার ঘোষণা দিয়েছেন৷

এবার পাকিস্তান সরকারও বিতর্কের জন্ম দেয়া এই রায় নিয়ে ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের' কাছে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷

বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা পোশোয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে ‘মানসিকভাবে অক্ষম' ঘোষণা করে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার আবেদন করবেন৷

পাকিস্তানের আইনানুযায়ী একমাত্র সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলই হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতিকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে৷

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনীও এ রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷ সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, ‘‘এই রায় সব ধরনের মানবতা, ধর্ম এবং সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থি৷''

মুশাররফ নিজেও দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে এই রায় ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে' দেয়া হয়েছে৷

এসএনএল/এসিবি (রয়টার্স)