1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপ্লব শেষ হয়ে যায় নি, শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে মিশরের সেনা প্রশাসন

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরের নতুন সেনা শাসকরা প্রথম দিনেই শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে৷ পুলিশ থেকে শুরু করে দেশের বহু প্রাতিষ্ঠানিক সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নেমে পড়েছেন বেতন বাড়ানোর আন্দোলনে৷ ফলে বিপ্লব এখনও শেষ হয়ে যায়নি মিশরে৷

https://p.dw.com/p/R0zt
আন্দোলনে এবার মিশরের পুলিশবাহিনীছবি: AP

হাজার হাজার পুলিশকর্মীর মিছিল তাহরির স্কোয়্যারে

সোমবার এক আশ্চর্য দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছে কায়রো৷ যে তাহরির স্কোয়্যার গত শুক্রবার পর্যন্ত মুবারক বিরোধীদের দখলে ছিল, সেখানেই মিছিল করেছে শাদা পোষাকে এবং পুরোদস্তুর পুলিশের ঊর্দিপরা কর্মচারীরা৷ তাদের হাজার কন্ঠের শ্লোগান ছিল, আমরাও তোমাদের মত সাধারণ মানুষ৷ আমরা বেশি বেতন চাই৷ পুলিশরা জানিয়েছে, মুবারক বিরোধী গণ আন্দোলনের শুরুতে তারা যে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমননীতি চালিয়েছিল, তা স্বেচ্ছায় ছিল না৷ চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল তাদের ওপর৷ মুবারক সরকার বাধ্য করেছিল তাদের জনতার বিরুদ্ধে যেতে৷ প্রসঙ্গত, সে সময়েই মিশরে প্রায় তিনশোর’ও বেশি মাননুষের মৃত্যু হয়৷ যারা সকলে এই বিপ্লবের শহীদ৷ তাহরির স্কোয়্যারের মিছিলে সোমবার পুলিশরা সম্মান জানিয়েছে বিপ্লবে নিহত সেইসব শহীদদের উদ্দেশে৷ অর্থাৎ সাধারণের সঙ্গে সামিল হয়ে গেছে তারা৷ অবশ্যই এ এক ভিন্ন বিপ্লবের দৃশ্য৷

NO FLASH Ägypten Kairo Proteste
বিপ্লবের গোড়ার দিকে পুলিশ ছিল জনতার বিরুদ্ধে৷ এ ছবি ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার, কায়রোর কার্ফিউ ঢাকা পথে৷ছবি: picture-alliance/dpa

এছাড়াও সারাদিন ধরে বহু বিক্ষোভ দেখেছে কায়রো

ব্যাঙ্ক, সরকারি দপ্তর, আদালত এবং কিছু কিছু বড়মাপের মন্ত্রণালয়ের কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সোমবার৷ কোথাও ছোট, কোথাও মাঝারি মাপের সেইসব ছোটখাটো জমায়েতের দাবিও ছিল একই৷ বেশি বেতন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকার৷

সেনা শাসকরা সকলকে কাজে ফিরে যেতে বলছেন

টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে আবেদন রেখেছে মিশরের সেনাবাহিনী৷ বলেছে, সকলকে কাজে ফিরে যেতে হবে৷ এখন আপৎকালীন সময়, নিজেদের মধ্যে বিতন্ডা করলে তাতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে৷ কায়রোর তরফে ইউরোপের প্রধান দেশ, বিশেষ করে ফ্রান্স, জার্মানি আর ইংল্যন্ডের কাছে অনুরোধ গেছে মুবারক আর তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন্য৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ মিশরের মধ্যে বহু বিষয়ই এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে৷ সেখানে সবকিছু সমাধানের আগে যার দিকে তাকাতে হবে তা হল দেশের বাঁকা পথে চলে যাওয়া অর্থনীতি৷ সেটাই সেনা সরকারের সামনে আগামী নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জান্নাতুল ফেরদৌস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান