1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছেন ট্রাম্প

১৯ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিষয়ে পরস্পরবিরোধী নরম-গরম মন্তব্য করে আরও বিভ্রান্তি বাড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আবার জানিয়েছে, তারা রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে নিশ্চিত৷

https://p.dw.com/p/31jD6
USA, Washington: U.S. Präsident Trump hält Kabinettssitzung ab
ছবি: Reuters/L. Millis

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মরিয়া হয়ে পিছু হঠছেন, এমনটা এর আগে দেখা যায়নি৷ কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে সোমবার শীর্ষ বৈঠকের পর দেশে ফিরে তাঁকে ঠিক সেটাই করতে হচ্ছে৷ তবে দু'পা পেছিয়ে আবার এক পা এগিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করছেন৷ চাপের মুখে তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির উপর ‘সম্পূর্ণ' আস্থা দেখিয়েছেন৷ ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ স্বীকার করে নিয়েছেন৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, অন্যরাও জড়িত থাকতে পারে৷ তারপরই আবার চলতি বছরের সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে এমন নানা পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন তিনি৷ হোয়াইট হাউস তার ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খাচ্ছে৷

সিবিএস টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার শীর্ষ নেতা হিসেবে পুটিন অবশ্যই দায়ী৷ একান্ত আলোচনায় তিনি নাকি পুটিনকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তবে এমন মন্তব্যে কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প৷

মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের আগে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বহিষ্কারসহ যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন৷ এর আগে অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার প্রতি এত কড়া মনোভাব দেখাননি বলে দাবি করেন ট্রাম্প৷ তাঁর মতে, এর ফলে পুটিন মোটেই আনন্দিত নন৷ তবে শীর্ষ বৈঠকের বড় ফলাফল দেখা যাবে বলে দাবি করেন ট্রাম্প৷ সমালোচকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক কিছু লোকের পছন্দ নয়৷ তারা বরং যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত৷ এই মনোভাবকে তিনি ‘ট্রাম্প ডিরেন্জমেন্ট সিন্ড্রোম' হিসেবে বর্ণনা দেন৷

হেলসিংকিতে পুটিন মার্কিন তদন্তকারীদের মস্কোয় পাঠানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউস সেটি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে৷ ফলে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাইবার হামলার দায়ে ১২ জন রুশ গোয়েন্দা অফিসারকে জেরা করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে৷  তবে এর বদলে রাশিয়াও অ্যামেরিকায় তদন্তকারী টিম পাঠাতে চায়৷

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৬ই নভেম্বর সংসদে নির্বাচনের উপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া৷ ন্যাশানাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ড্যান কোটস আবার এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন৷ এফবিআই প্রধান ক্রিস্টোফার রে বুধবার বলেন, অ্যামেরিকার সব গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে একমত৷ তাঁর মতে, এখনো পর্যন্ত ভোটারদের নথিভুক্ত করার সার্ভারে হ্যাকিংয়ের মতো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ চোখে না পড়লেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চরিত্রহননের মতো প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)