1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে রাশিয়া

১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বড়সড় বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর অদূরে৷ ঘটনায় ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বরফ ঢাকা গ্রামে শুরু হয়েছে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ৷ দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি৷

https://p.dw.com/p/2sVnr
ছবি: Reuters/M. Shemetov

রাশিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো ৭১ জন যাত্রী ও বিমান কর্মীর৷ ঘটনাস্থল রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে আর্গুনোভো নামের একটি গ্রামে৷ নিরাপত্তারক্ষীরা ইতিমধ্যেই ঘিরে ফেলেছেন বরফে ঢাকা এলাকাটি৷ তবে তাঁরা জানিয়েছেন, সব মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুরো ১ দিন লেগে যেতে পারে৷

রবিবার দুপুরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে ডোমোডেডোভো বিমানবন্দর থেকে রওনা হয় সারাটোভ বিমানসংস্থার বিমানটি৷ ওড়ার কয়েকমিনিটের মধ্যেই এয়ারট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটির৷ এবং তারপরেই বিমানটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যায়৷

কিন্তু কেন এই দুর্ঘটনা? এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নিরাপত্তারক্ষীরা মূলত আবহাওয়া, পাইলটের ভুল এবং যান্ত্রিক গোলোযোগ নিয়েই তদন্ত করছেন৷ এরসঙ্গে সন্ত্রাসবাদী হামলার কোনো সূত্র এখনো পাওয়া যায়নি৷ তবে কোনো আশঙ্কাই এখনই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ইতিমধ্যেই মৃত যাত্রীদের আত্মীয়দের প্রতি সমাবেদনা জানিয়েছেন৷ অ্যামেরিকা এবং ব্রিটেনের তরফ থেকেও সমবেদনার বার্তা পাঠানো হয়েছে৷ মৃতের আত্মীয়েরা ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই৷

সারাটোভ বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে এর আগেও তদন্ত হয়েছে৷ ২০১৫ সালে এই সংস্থার একটি বিমানের ককপিটে পাইলট এবং কর্মী ছাড়াও এক অজ্ঞাত ব্যক্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল৷ তারপরেই সরকারের তরফ থেকে সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়৷ তাদের লাইসেন্সও বাতিল হয়৷ ২০১৬ সালে ফের কাজ শুরু করে সংস্থাটি৷ মূলত রাশিয়ার ভিতরে বিমান চালালেও জর্জিয়া এবং আর্মেনিয়ার মতো কোনো কোনো দেশেও বিমান সংস্থাটি নিয়মিত বিমান চালায়৷ এদিনের বিমানটি যাচ্ছিল উড়াল পর্বত অঞ্চলে৷

২০১৭ সালের পর রাশিয়ায় বড়সড় কোনো বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি৷ এদিনের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ প্রশ্ন উঠছে রাশিয়ায় বিমানের নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়েও৷

এসজি/এসিবি (বিবিসি/রয়টার্স)