বিমানবন্দর নিয়ে কিছু চলচ্চিত্র
বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব, বাতিল, দীর্ঘ অপেক্ষা ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে হৈ চৈ মোটেই অস্বাভাবিক ঘটনা নয়৷ নানা সময়ে চলচ্চিত্রেও ঠাঁই পেয়েছে বিমানবন্দরের দৃশ্য৷ ভোলার নয় এমন কিছু চলচ্চিত্রের কথাই থাকছে ছবিঘরে...
দ্য টার্মিনাল
২০০৪ সালের কমেডি সিনেমা, পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের এক নাগরিকের চরিত্রে অভিনয় করেন টম হ্যাঙ্কস৷ নিজের দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে আটকা পড়েন তিনি৷ যাত্রাপথের লাগেজ ও একটি বাদামের ক্যান নিয়ে ব্যস্ত টার্মিনালে নয় মাস কাটিয়ে দেন টম হ্যাঙ্কস৷
ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান
স্টিভেন স্পিলবার্গের ২০০২ সালের এই সিনেমায় এক জালিয়াতের চরিত্রে অভিনয় করেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও৷ চিকিৎসক, আইনজীবী ও ফ্লাইট ক্যাপ্টেন সাজেন তিনি৷ একজন এফবিআই এজেন্টের হাতে ধরা পড়ার আগে পাইলট হিসেবে উড়াল ও বিমানবন্দরে বৈমানিক হিসেবে ঘুরাঘুরি করেন তিনি৷
আপ ইন দ্য এয়ার
কর্পোরেট কোম্পানির বড় কর্তা হিসেবে একটি স্যুটকেস নিয়ে দেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় উড়াল দেয়ায় ব্যস্ত থাকেন রায়ান বিংহ্যাম (জর্জ ক্লুনি)৷ চোখ বন্ধ করে প্রতিটি বিমানবন্দরের খুঁটিনাটি ও ভ্রমণের সব কিছু বলে দিতে পারেন তিনি৷
এয়ারপোর্ট
আর্থার হেইলির বেস্ট সেলিং উপন্যাস অবলম্বনে ১৯৭০ সালে নির্মিত এয়ারপোর্ট চলচ্চিত্রে ভয়ানক তুষার ঝড়ে শিকাগো বিমানবন্দর অচল হয়ে পড়ে৷ শহরের লিঙ্কন ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের এয়ার ফিল্ডে একটি উড়োজাহাজ আটকে রানওয়ে বন্ধ হয়ে যায়৷ চলচ্চিত্রটি ১৯৭১ সালের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে নয়টি বিভাগে মনোনয়ন পায়৷ সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পান হেলেন হায়েস৷
কাসাব্ল্যাঙ্কা
চলচ্চিত্রে প্রায়ই এয়ারফিল্ড বা টার্মিনাল দেখানো হয়, কখনো কখনো ভোলা যায় না এমন দৃশ্যে আসে এগুলো৷ ১৯৪২ সালের এই ক্লাসিক রোমান্টিক চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যে ঘন কুয়াশায় মোড়ানো বিমানবন্দরের এয়ারফিল্ডে এক জায়গায় আসেন মুখ্য চরিত্রগুলো৷
হোম অ্যালোন ২
১৯৯২ সালের এই মার্কিন কমেডি কিশোর কেভিনের ছুটির দিনের গোল ও অ্যাডভেঞ্চারের দ্বিতীয় পর্ব৷ ছুটি কাটাতে পরিবারের সবাই যখন ফ্লোরিডার উদ্দেশে পাড়ি জমায় তখন তাদের সবচেয়ে ছোট ছেলে বিমানবন্দরে অন্য উড়োজাহাজে চেপে বসে৷ এরপর ছেলেটি একা একা চলে আসে নিউ ইয়র্ক শহরে৷
মোগাদিসু
১৯৭৭ সালে একদল সন্ত্রাসী একটি জার্মান প্লেন ছিনিয়ে নেওয়ার সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয় ২০০৮ সালের এই টিভি থ্রিলার৷ মোগাদিসুতে অবতরণের আগে জ্বালানি নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ভেড়ে উড়োজাহাজটি৷ অবশেষে সোমালিয়ার রাজধানীতে একটি জার্মান সন্ত্রাস দমন ইউনিট অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করে৷