1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিরোধী নেতাকে সাবধান করে দিলেন ট্রাম্প

২১ জানুয়ারি ২০১৯

প্রায় এক মাস প্রশাসনিক অচলাবস্থা কাটাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা প্রত্যাখ্যান করেছে৷ সমর্থকরাও প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করছে৷ কোণঠাসা ট্রাম্প বিরোধী নেতাকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3BtBB
USA, Washington:  Präsident Trump bei einer Midterm elections Pressekonferenz im Weißen Haus
ছবি: REUTERS

মার্কিন প্রশাসনের একটা অংশ প্রায় এক মাস ধরে অচল হয়ে রয়েছে৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে কর্মরত প্রায় ৮ লক্ষ সরকারি কর্মী বেতন পাচ্ছেন না৷ সরকারের এই ‘শাটডাউন' বা অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের উদ্দেশ্যে এক প্রস্তাব রেখেছিলেন৷ মেক্সিকো সীমান্তে বিশাল প্রাচীর তৈরির প্রশ্নে কোনো আপোশ করতে প্রস্তুত না হলেও ট্রাম্প অভিবাসনের বিষয়ে কিছুটা সুর নরম করেছেন৷ তরুণ অবৈধ অভিবাসীদের কল্যাণে ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচির মেয়াদ তিনি ৩ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন৷ তাছাড়া অভিবাসনের ক্ষেত্রে তিনি নতুন এক শ্রেণি সৃষ্টি করতে চান৷ তার আওতায় সশস্ত্র সংগ্রাম, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা অন্য কোনো সংকট কবলিত দেশের মানুষের জন্য সাময়িক আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে৷

এমন আপোশের প্রস্তাব দিয়ে  উভয় সংকটে পড়েছেন ট্রাম্প৷ ডেমোক্র্যাটরা অবিলম্বে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন৷ কোনো অবস্থায় তারা প্রাচীর তৈরির জন্য ৫৭০ কোটি ডলার মঞ্জুর করতে প্রস্তুত নয়৷ তার বদলে সামগ্রিকভাবে সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করে অনুপ্রবেশ রুখতে এক সার্বিক সমাধানসূত্রের পথে যেতে চায় বিরোধীরা৷ তার আওতায় সীমান্তে কিছু অংশে বেড়া দেওয়া যেতে পারে৷ ডেমোক্র্যাটদের দাবি, রাজনৈতিক মঞ্চের এই সংঘাতের মধ্যে প্রশাসনকে অচল করে ও সরকারি কর্মীদের বেতন আটকে রাখা চলবে না৷ সরকারি কাজকর্ম শুরু হলে প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবকে ভিত্তি করে আলোচনা শুরু করা যেতে পারে৷

অন্যদিকে ট্রাম্পের সমর্থকরাও প্রেসিডেন্টের এমন প্রস্তাবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে৷ অভিবাসনের প্রশ্নে তারা কোনোরকম নরম অবস্থান মেনে নিতে প্রস্তুত নয়৷ কট্টর দক্ষিণপন্থি বলে পরিচিত সংবাদ মাধ্যমেও তাই প্রেসিডেন্টের আপোশ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

এই অবস্থায় কোণঠাসাট্রাম্প তাদের আশ্বস্ত করতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন৷ একের পর এক টুইট বার্তায় তিনি অভিবাসনের প্রশ্নে কড়া মন্তব্য করছেন৷ একটি বার্তায় তিনি লেখেন, তিনি কোনোমতেই বেআইনি অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব দিচ্ছেন না৷ প্রস্তাবের মধ্যে শুধু ড্রিমার্স বা ডিএসিএ কর্মসূচির মেয়াদ ৩ বছর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে৷ ট্রাম্প আরো আশ্বাস দিয়েছেন যে, অভিবাসন বা অন্য কোনো প্রশ্নে বিরোধীদের সঙ্গে রফা হলে তবেই টোপ হিসেবে ক্ষমার কথা ভাবা হবে৷ সেইসঙ্গে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না৷ সেই বার্তায় তিনি বিরোধী নেতা ন্যান্সি পেলোসিকে সতর্ক করে দিয়েছেন৷

এই অবস্থায় অচলাবস্থা কাটার কোনো দ্রুত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ প্রেসিডেন্টকে উপেক্ষা করে সংসদের উদ্যোগে প্রশাসনকে সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা৷ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে সেই প্রস্তাব অনুমোদন করানো সম্ভব হলেও সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেই পদক্ষেপ থমকে যেতে পারে৷ তবে কিছু রিপাবলিকান সদস্য তাতে সমর্থন দিলে বিরোধীদের নৈতিক জয় হতে পারে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)