বিশ্বকাপের বাংলাদেশ স্কোয়াড

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি বিন মোর্তজা৷ ভাবা হচ্ছে, এটাই তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ৷ ইনজুরির কারণে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ তিনি খেলতে পারেনি৷ ২০৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে তিনি ২৫৯ উইকেট নিয়েছেন৷ ১৫১ ইনিংসে ব্যাট হাতে মাশরাফি করেছেন ১৭৫২ রান৷

বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল৷ প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে ৫,০০০ রান পেরোনোর রেকর্ডটি তাঁর৷ এখন পর্যন্ত ১৮৯ ম্যাচে তামিমের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৬৪৬০ রান৷ এর মধ্যে রয়েছে ১১ সেঞ্চুরি ও ৪৪ হাফ সেঞ্চুরি৷ স্ট্রাইকরেট ৭৭ দশমিক ৯২৷

বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সহ-অধিনায়ক৷ মোট ১৯৫ ওডিআই খেলে তিনি ৫৫৭৭ রান করেছেন৷ তাঁর মধ্যে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৪০টি ফিফটি রয়েছে৷ ১৯৫ ম্যাচে ২৪৭ উইকেট নেওয়া সাকিব স্পিন আক্রমণে বাংলাদেশের প্রধান অস্ত্র৷

উইকেটকিপার-ব্যাটসমান মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অস্ত্র৷ তিনি খেলেছেন ২০১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ৷ ক্যারিয়ারে মোট ৫৩৯২ রান তোলা মুশফিকের ৬টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে৷ সর্বোচ্চ ইনিংস ১৪৪ রানের৷

অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ১৭১টি ওয়ানডে৷ ৩৩ দশমিক ৩৯ গড়ে তাঁর মোট রান ৩৬৭৩৷ স্ট্রাইকরেট ৭৫ দশমিক ৬২৷ বল হাতে এই অফ-স্পিনার নিয়েছেন ৭৬ উইকেট৷ রিয়াদের ক্যারিয়ারে মোট ৩ সেঞ্চুরির দু’টিই গত বিশ্বকাপের৷ ক্যারিয়ারে ফিফটি আছে ২০টি৷

বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার মাঝে-মধ্যে বোলিং করেন ডান হাতে৷ ৪১ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৪ দশমিক ৪৩ গড়ে তাঁর মোট রান ১২৭৪৷ ২ সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ৭টি ফিফটি৷ স্ট্রাইকরেট ৯৮ দশমিক ৬০৷ এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ১২৭৷ ৮ ম্যাচে বল করে সৌম্য উইকেট নিয়েছেন ১টি৷

উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন দাস ২৭ ম্যাচ খেলে ৫০৮ রান করেছেন৷ ১ টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর৷ স্ট্রাইকরেট ৭৯ দশমিক ৭৪৷ ১৫ টেস্ট খেলে লিটন করেছেন ৬২২ রান৷

‘কাটার মাস্টার’ হিসাবে পরিচিত পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৭৭টি৷ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন ৩বার এবং ৪ উইকেট ২বার৷

পেস বোলার রুবেল হোসেনের রয়েছে দুই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা৷ ওয়ানডেতে মোট ৯৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১২২টি৷ পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন ১ বার আর চার উইকেট ৭ বার৷

৫৭ ম্যাচে ১২১২ রান করেছেন মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান৷ ৯১ দশমিক ৬৭ স্ট্রাইকরেটে তাঁর এই সংগ্রহে ১ টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে৷

এবার স্পিন আক্রমণে বাংলাদেশ দলে সাকিবের সঙ্গী অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ৷ ২৫ ম্যাচে তাঁর মোট ২৯১ রান৷ স্ট্রাইকরেট ৭১ দশমিক ৮৫৷ বল হাতে ২৫ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি৷

ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন উইকেট কিপিংও করেন৷ ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে করেছেন ২০৭ রান৷ স্টাইকরেট ৭৪ দশমিক ৮৪৷ তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯৩ ম্যাচে ৪৯৬১ রান আছে মিঠুনের৷

অফ-স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন ২৪টি একদিনের ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১১ উইকেট৷ ব্যাট হাতে করেছেন ৩৪১ রান৷ ফিফটি রয়েছে ১টি৷

পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১০টি ওয়ানডে খেলে ৭ উইকেট নিয়েছেন৷ ৭ ইনিংসে করেছেন ১৭৫ রান৷ ৭০ স্ট্রাইকরেটে তাঁর এই রানের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ৫০৷

একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে না খেললেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে আবু জায়েদ চৌধুরীর৷ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৭৬ ম্যাচে করেছেন ৪৫৬ রান৷ বল হাতে নিয়েছেন ২২৭ উইকেট৷ তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৪ উইকেট৷