1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ আসলে কী

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

উত্তর হতে পারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ মুলত চারটি, শিক্ষার্থীদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে কড়া নজর রাখা, এদিক-সেদিক করলে সাময়িক বহিস্কার করা, সংবাদ সম্মেলনে বহিস্কারের ব্যাখ্যা দেওয়া এবং ভুল স্বীকার করলে বহিস্কারাদেশ ফিরিয়ে নেওয়া৷

https://p.dw.com/p/3Pjbl
Faatema Tuz Zinia, Studentin Bangladesch
ছবি: privat

আপনি বিশ্ববিদালয়ে পড়েন? আপনি কি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ জানতে চান? তাহলে আপনি অপরাধ করেছেন, ক্ষমা না চাইলে আপনি চিরতরে বহিষ্কার৷ কারণ, উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছেন, তাই আপনি সেখানে পড়তে পারছেন৷ এটুকু জেনে এবং মেনে নিয়েই আপনি ভালোয় ভালোয় শিক্ষাজীবন শেষ করুন৷

পাঠক, উপদেশমূলক গল্প এখানেই শেষ৷ আসুন এবার একটু খবরে চোখ বুলানো যাক৷ গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)-র আইন বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের কারণ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য৷ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন ওই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন৷

সংবাদ সম্মেলনে নাসির উদ্দিন বলেন, একাধিক অপরাধে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে ফেসবুকে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ও ই-মেল আইডি হ্যাক করেছেন৷ এছাড়া তিনি ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট হ্যাক করে পরীক্ষা বানচালের ষড়যন্ত্র করেছেন৷ উপাচার্যের দাবি, ওই ছাত্রী দুবার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছেন৷ উপাচার্য জানান, ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া যদি ভুল স্বীকার করে তাঁর কাছে আবেদন করেন, তাহলে বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হবে৷

Khaled Muhiuddin
খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/P. Böll

১১ সেপ্টেম্বর ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ সেই সময় ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বলেছিলেন, ‘‘কীভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক করতে হয়, আমি তো সেটাই জানি না৷ তাছাড়া উপাচার্য স্যারের ফেসবুক হ্যাক করতে যাব কেন? আমি কোনো দিন বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে কোনো মন্তব্য করিনি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নিয়ে তো প্রশ্নই ওঠে না৷''

দৈনিক প্রথম আলো বলছে, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে গত ছয় মাসে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থীদের ‘অপরাধ', ফেসবুকে বিরুদ্ধ মত জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তাঁরা৷ পরে অবশ্য উপাচার্যের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় তিনজনের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হয়৷

সাময়িক বহিষ্কৃত ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘আমাকে যখন বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হয় সেখানে লেখা হয়েছে আমি উপাচার্যের ফেসবুক হ্যাক করার হুমকি দিয়েছি৷ কিন্তু আজ বলা হচ্ছে আমি হ্যাক করেছি৷ তাহলে কোনটা ঠিক? ফেসবুক কিভাবে হ্যাক করতে হয় সেটা তো আমার জানাই নেই৷'' এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘আমাকে উপাচার্য স্যার ক্ষমা চাইতে বলেছেন৷ কিন্তু আমি তো কোনো অপরাধই করিনি৷ ক্ষমা চাইব কেন?''