1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলারুশের বিক্ষোভে নারীরা, নিহত দুই

১৩ আগস্ট ২০২০

বেলারুশে ভোট পরবর্তী বিক্ষোভ অব্যাহত। পথে নেমেছেন নারীরা। পুলিশের অত্যাচারও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

https://p.dw.com/p/3gsRe
ছবি: Getty Images/AFP/S. Gapon

নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তাপ ছিল যথেষ্ট। ভোটের পর তা চরম আকার নিয়েছে। একদিকে চলছে পুলিশি অভিযান। অন্য দিকে রাস্তায় বিক্ষোভকারীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন নারীরাও। তারই মধ্যে আরও একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু সংবাদ এসেছে। সব মিলিয়ে বেলারুশের পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে আসছে।

বেলারুশে নির্বাচন ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। নির্বাচনের আগেই বহু ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। তার মধ্যে ডয়চে ভেলের এক সাংবাদিকও ছিলেন। নির্বাচনের পর বিক্ষোভ কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদকারীরা রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচনের নামে ভোট লুঠ করেছে বর্তমান সরকার। তাঁরা এই নির্বাচন মানেন না।

বুধবার তারই জের ধরে দেশের রাজধানী মিনস্কে হাজার হাজার নারী সাদা জামা পরে রাস্তায় নেমে পড়েন। তাঁদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবাদীদের মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। যেখানে মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। বস্তুত, বেলারুশের লোকেদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, ভোটের নামে লুঠ হয়েছে নির্বাচনে। একনায়ক সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

দেশ ছাড়লেন ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরশাসকের’ প্রতিদ্বন্দ্বী

শুধু রাজধানী নয়, গোটা দেশ জুড়েই প্রতিবাদ সমাবেশ চলছে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ প্রায় ছয় হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে পুলিশ। রবার বুলেট ছোড়া হচ্ছে, জল কামান ব্যবহার করা হচ্ছে। সঙ্গে প্রবল লাঠিচার্জ। বহু বিক্ষোভকারী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। আগে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, প্রশাসনকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। বোমা হাতেই ফেটে যাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার জানা গিয়েছে আরও এক বিক্ষোভকারী পুলিশের লকআপে মারা গিয়েছেন। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হলো, লকআপে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

বেলারুশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বুধবার ফোন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে। মাক্রোঁ জানিয়েছেন প্রয়োজনে ফ্রান্স মধ্যস্থতা করতে রাজি। বেলারুশের অস্থিরতা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার বলে মাক্রোঁর অভিমত। পুটিন এবং চীনের প্রধান শি জিনপিং অবশ্য আগেই বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েছেন।

জার্মানিও বেলারুশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেখানে মানুষের অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জার্মানি। এ দিকে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং ল্যাটভিয়া যৌথ ভাবে মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। সরকার এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আলোচনার রাস্তা খোলা দরকার বলে মত প্রকাশে করেছে এই দেশগুলি।

জাতি সংঘও বেলারুশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দ্রুত সেখানে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার বলে জানিয়েছে তারা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)