1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ

৮ আগস্ট ২০১২

গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যাংকটির গ্রাহক শেয়ার হোল্ডার এবং কর্মচারীরা৷ তাদের কথা, ব্যাংকটি যাতে ভালোভাবে চলে সরকার যেন সেই ব্যবস্থা নেয়৷ তাঁরা যাতে ঋণ ও আমানতের টাকা লাভসহ ফেরত পান, তা যেন নিশ্চিত হয়৷

https://p.dw.com/p/15ljr
ছবি: AP

বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের যাঁরা গ্রাহক তাঁরাই শেয়ার হোল্ডার৷ এর সংখ্যা এখন ৮৩ লাখেরও বেশি দরিদ্র মানুষ৷ আর তাঁদের ৯৭ ভাগই মহিলা৷ মোট ২৫৬৫ শাখার মাধ্যমে এই ব্যাংক সারা দেশে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির মধ্যে কাজ করে৷ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেল জয়ি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলে যাওয়া এবং নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ নিয়ে নানা বিতর্ক তাঁদেরও ভাবিয়ে তোলে৷ তবে তাঁদের এই ভাবনা নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে৷ তাঁদের আমানত এবং ঋণ নিয়ে৷ ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকরা সেরকম কথাই বললেন৷

তাঁরা চান গ্রামীণ ব্যাংক যেন আরো ভালোভাবে চলে৷ ব্যাংকটি যেন টিকে থাকে এবং তাঁদের যেন আরো সুযোগ সুবিধা দেয়৷

সারা দেশে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ২২ হাজারেরও বেশি৷ মানিকগঞ্জে এলাকার গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকরা বললেন, গ্রামীণ ব্যাংক এখনও তার নিজস্ব গতিতেই চলছে৷ তাঁরা চান প্রতিষ্ঠনটি যেন গণতান্ত্রিকভাবেই চলে৷ আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক যেন দক্ষ হন৷ সরকারের সিদ্ধান্ত যেন গ্রামীণ ব্যাংকের ভালোর জন্যই হয়৷

আর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান যদি অব্যস্থাপনার শিকার হয় তাহলে দরিদ্র মানুষ শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হবেনা, তাঁদের আশার আলোও নিভে যাবে৷

তিনি বলেন, এই ব্যাংকের মালিক এর গ্রাহকরা৷ তাই এর ব্যাবস্থাপনার বিষয়টি তাঁদের সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত৷ তাতেই ব্যাংকটি রক্ষা পাবে৷

১৯৭৬ সাল থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করলেও ব্যাংক হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে৷ সেই থেকে এ পর্যন্ত ব্যাংকটি দরিদ্র মানুষের মধ্যে ৬৮৪.১৩ বিলিয়ন টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করেছে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য