1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাকস্টপের বিকল্প খুঁজতে জনসনকে এক মাস সময় ম্যার্কেলের

২২ আগস্ট ২০১৯

আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থা বাতিলের দাবি নিয়ে বার্লিনে গিয়ে হতাশ হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন৷ ম্যার্কেল তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে ব্যাকস্টপের বিকল্প খোঁজার চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3OIaB
বরিস জনসন ও আঙ্গেলা ম্যার্কেল
ছবি: Reuters/A. Hilse

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হবার পর বরিস জনসন তাঁর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য জার্মানিকেই বেছে নিয়েছিলেন৷ তাঁর নিজের শর্তে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর একমাত্র আশা ছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের ক্ষীণ আশ্বাস আদায় করতে পারলেও তার বদলে কঠিন দায়িত্ব নিয়ে লন্ডনে ফিরতে হলো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে৷ আয়ারল্যান্ড সীমান্তে ‘ব্যাকস্টপ' ব্যবস্থা নিয়ে জনসনের ঘোর আপত্তির প্রেক্ষাপটে ম্যার্কেল তাঁকে ৩০ দিনের মধ্যে বিকল্প প্রস্তাব পেশ করার চ্যালেঞ্জ করেছেন৷

এমন অবস্থায় চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে সেই ব্যর্থতার দায় ইউরোপের উপর চাপিয়ে দেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়লো৷ ব্যাকস্টপের বদলে ‘কিছু একটা সমাধানসূত্র' উঠে আসবে বলে এতকাল দাবি করে আসছিলেন বরিস জনসন৷ কিন্তু তিনি এখনো এই মর্মে কোনো স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাব পেশ করেন নি৷ বৃহস্পতিবার তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় আদায় করতে পারবেন না, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ ম্যার্কেল ক্ষীণ আশ্বাস দিলেও মাক্রোঁ বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কোনোরকম আলোচনা সম্ভব নয়৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কার্যকর হলে সেই দায় সম্পূর্ণ ব্রিটেনকেই নিতে হবে, বলেন তিনি৷

ম্যার্কেল নিজেও ব্রেক্সিট চুক্তির মধ্যে রদবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তবে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে তিনি এই চুক্তি অনুমোদনের পর ব্যাকস্টপের বদলে আইরিশ সীমান্তে দ্রুত কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের পর দুই পক্ষের মধ্যে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক স্থির করার সময় এই প্রশ্নের মীমাংসা খোঁজার কথা ছিল৷ সেই সমাধানসূত্র এখনই পাওয়া গেলে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ব্যাকস্টপ সংক্রান্ত আপত্তির আর কোনো কারণ থাকবে না, ম্যার্কেল এমনটাই আশা করছেন৷ তবে সেই দায় তিনি ব্রিটেনের উপরেই চাপিয়ে দিয়েছেন৷ ফলে জনসন ও কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের ব্যাকস্টপ-বিরোধিতার বদলে এবার গঠনমূলক প্রস্তাব পেশ করতে হবে৷

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর জনসন দেশে ফিরে ইইউ-বিরোধিতার বদলে গঠনমূলক সমাধানসূত্রের লক্ষ্যে সক্রিয় হয়ে উঠবেন, এমনটা ধরে নেওয়া কঠিন৷ আগামী ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্য বিকল্প খুঁজে ইইউ-র সম্মতি আদায় করে সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ৷ ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করানোর পর ইইউ পার্লামেন্ট ও সদস্য দেশগুলিকেও সেই চুক্তি অনুমোদন করাতে হবে৷ তবেই চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়ানো সম্ভব হবে৷ অথবা ব্রিটিশ সরকারকে এই সময়সীমা আবার পেছানোর আবেদন করতে হবে৷ আগাম সংসদ নির্বাচন ও ব্রেক্সিট পুরোপুরি বাতিল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)