1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটেনে ‘৫-জি নেটওয়ার্ক’ নিয়ে গবেষণা শুরু

রবিন পাওয়েল/জেডএইচ১৩ নভেম্বর ২০১২

অনেক বাধা পেরিয়ে ব্রিটেনে কেবলমাত্র শুরু হয়েছে চতুর্থ জেনারেশনের মোবাইল প্রযুক্তি তথা ফোর-জি’র ব্যবহার৷ তবে এরই মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটেনের সারে বিশ্ববিদ্যালয়৷

https://p.dw.com/p/16hdf
ছবি: Reuters

ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে অনেক দেশের চেয়ে পিছিয়ে গেছে ব্রিটেন৷ আইনি লড়াই ও প্রয়োজনীয় বেতার তরঙ্গের অভাবে এই দেরি বলে জানা গেছে৷ লন্ডন ও এর আশেপাশের এলাকার গ্রাহকরা ফোর-জি ব্যবহার শুরু করেছেন৷

তবে আর পিছিয়ে থাকতে চাইছে না ব্রিটেন৷ তাই ফাইভ-জি নিয়ে কাজ করতে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র চালুর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে৷ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর, অবকাঠামো সুবিধা দেয় এমন কোম্পানি ও সরকার মিলে এজন্য ৪৩ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে৷

এই টাকা দিয়ে সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক রহিম তাফোজোলি৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর কমিউনিকেশনস সিস্টেমস রিসার্চ' এর পরিচালক এবং মোবাইল ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের অধ্যাপক৷

২০২০ সাল নাগাদ ফাইভ-জি চালুর লক্ষ্যে কাজ করবে এই গবেষণা কেন্দ্রটি৷ প্রতি গ্রাহক যেন ২০০ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড পেতে পারে সেই লক্ষ্য থাকবে গবেষকদের৷ বেতার তরঙ্গকে আরও ভালভাবে কাজে লাগিয়ে এই উদ্দেশ্য পূরণের চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে৷

Uni wide
সারে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসছবি: Robin Powell /DW

অধ্যাপক তাফোজোলি বলছেন, ফাইভ-জি তাদের কাছে নতুন কিছু নয়৷ তারা নতুন মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই কাজ করছেন৷ তিনি বলেন, ফাইভ-জি'র জন্য ব্রিটেন জুড়ে হাজার হাজার ক্ষুদ্র সেল এর নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে৷ এই নেটওয়ার্কগুলো যুক্ত থাকবে একটি প্রধান নেটওয়ার্কের সঙ্গে, যেটা ফাইবার অপটিক কেবলের হতে পারে৷

এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেলগুলো বর্তমানে যে ওয়্যারলেস রাউটার রয়েছে তার মতো হতে পারে৷ এবং এগুলো বিভিন্ন ভবন বা ল্যাম্পপোস্টের গায়ে লাগিয়ে রাখা যেতে পারে৷

ফাইভ-জি প্রযুক্তি থাকা স্মার্টফোনগুলো এসব সেল থেকে তাদের প্রয়োজনীয়টা পছন্দ করে নিতে পারবে৷

সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশেপাশের বাসিন্দারা প্রথম ব্যবহারকারী হিসেবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে৷ কেননা গবেষণার পর উদ্ভাবিত প্রযু্ক্তিটা তাদেরকেই প্রথম ব্যবহার করতে দেয়া হবে৷

অধ্যাপক তাফোজোলি বলছেন, বর্তমানের বেশিরভাগ মোবাইল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি ১-২ গিগাহার্টজের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে থাকে৷ ভবিষ্যতে হয়তো সেটা ৫০ গিগাহার্টজ হওয়াটাই স্বাভাবিক মনে হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

Professor Rahim Tafazolli
অধ্যাপক রহিম তাফোজোলিছবি: Robin Powell /DW

অধ্যাপক তাফোজোলি বলেন, ২০২০ সালে মোবাইল ব্যবহারের সংখ্যা আজকের চেয়ে হাজার গুণ বেড়ে যাবে৷ এছাড়া অতি দ্রুতগতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল, মুহূর্তের মধ্যে ক্লাউড ব্যবহারের সুবিধা চাইবেন গ্রাহকরা৷ তাদের এই চাহিদা মেটাতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের প্রয়োজন পড়বে৷

তিনি বলেন, এখন যা আছে তা হয়তো বর্তমানের জন্য ঠিক আছে৷ কিন্তু ভবিষ্যতে যে চাহিদা তৈরি হবে তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে৷ অধ্যাপক তাফোজোলি বলেন, ফোর-জি নিয়ে আমরা গত ১০ বছর ধরে কাজ করেছি৷ তার সুফল এখন আমরা পাচ্ছি৷

মোবাইল প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, চীনের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ব্রিটেন৷ সেই দুঃখ মোচনে এবার সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইভ-জি গবেষণা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে৷ ব্রিটেনের সেরা বিজ্ঞানীরা এই কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন ব্রিটেনের ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিকাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল' এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড ডেলপাই৷

এই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্রিটেনকে তার বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতেও সহায়তা করবে বলে আশা করছেন সরকারসহ বিজ্ঞানীরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য