1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট ইস্যুতে সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত!

১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ব্রেক্সিটের ভবিষ্যত কী হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে যুক্তরাজ্যের সংসদের সিদ্ধান্তের উপরে৷  ইউরোপীয় নেতাদের সাথে বেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরুর একদিন আগে যুক্তরাজ্যের সংসদে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হলো৷

https://p.dw.com/p/2pMNK
প্রতীকী ছবি
ছবি: Getty Images/AFP/D. Leal-Olivas

বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিলটি পাশ হয়, যার মাধ্যমে ‘ব্রেক্সিট' নিয়ে সরকারের যে কোনো অবস্থান গ্রহণ বা বর্জন করার অধিকার অর্জন করলো সংসদ৷ ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলের ১১ জন সংসদ সদস্যের বিদ্রোহের মুখে এ যাত্রা হার হলো টেরেসা মে-র৷ ভোটে এ বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৩০৯টি, অন্যদিকে বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩০৫টি৷ এই ভোটের মাধ্যমে ব্রাসেলসের সঙ্গে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সংসদ আইনি বৈধতা পেল৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র জন্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে এ সিদ্ধান্ত এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে৷ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার এ সিদ্ধান্তে সংসদের কর্তৃত্ব অর্জনকে স্বাগত জানিয়ে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘‘ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের মিটিংয়ের আগে সরকারের এ ক্ষমতা হারানো এক লজ্জাজনক পরাজয়৷ টেরেসা মে গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতায় বাধা দিচ্ছিলেন৷'' অন্যদিকে লেবার পার্টির এমপি কেইর স্টার্মার বলেন, এর ফলে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যত এককভাবে কেবল সরকারের উপর ন্যস্ত থাকবে না৷

তবে সরকারের এক মুখপাত্র জানান, যদিও এ ভোটের ফলাফল ব্রিটিশ মধ্যস্তাকারীদের হতাশ করেছে, তবে এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে আসার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রস্তুতি বাধাগ্রস্থ হবে না৷

এদিকে ইউরোপিয়ান সংসদ ব্রেক্সিট আলোচনার পরবর্তী ধাপ শুরুর পক্ষে ভোট দিয়েছে৷ তবে যুক্তরাজ্যকে একটি সম্পূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য চুক্তি করার বিষয়ে আবারো সতর্ক করেছে ইইউ৷ একই সাথে ব্রিটিশ ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিসের সমালোচনা করে বলা হয়, তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্য পুরো প্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে৷

গত সপ্তাহে ডেভিড ডেভিস বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাসেলসের সাথে যুক্তরাজ্যের চুক্তিকে ‘স্টেটমেন্ট অফ ইনটেন্ট' বলে অভিহিত করে বলেছিলেন, এটি কার্যকর করার বাধ্যবাধকতা নেই৷ এছাড়াও, নতুন বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী ফল না মিললে ইইউকে ৪৭ থেকে ৫২ বিলিয়ন ইউএস ডলার ডিভোর্স বিল হিসেবে দেবে না ব্রিটেন, এমন মন্তব্যেও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ইইউ৷

আরএন/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য