1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিট মন্ত্রীর পদত্যাগ, চাপের মুখে মে

৯ জুলাই ২০১৮

ব্রেক্সিট নিয়ে নাজেহাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আবার মন্ত্রিসভার এক সদস্যকে হারালেন৷ প্রধানমন্ত্রীর নীতির বিরোধিতা করে ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিস ডেভিস রবিবার পদত্যাগ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/313iB
Sergey Elkin Karikatur Brexit
ছবি: Sergey Elkin

ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে'র দুশ্চিন্তার শেষ নেই৷ আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছেদ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ বাড়ছে৷ কিন্তু নিজের মন্ত্রিসভায় চরম বিভাজনের কারণে তার রূপরেখা এখনো স্পষ্ট হয়নি৷ শুক্রবার তিনি মন্ত্রীদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর ‘ঐকমত্য' দেখাতে ব্রেক্সিট নিয়ে সরকারের অবস্থান জানিয়েছিলেন৷ রবিবার ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিস ডেভিস সেই নীতির বিরোধিতা করে আচমকা পদত্যাগ করায় সরকার আবার সংকটের মুখে পড়লো৷ পদত্যাগপত্রে ডেভিস প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে লেখেন, এর ফলে ইইউ'র সঙ্গে আলোচনায় ব্রিটেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে৷ ডেভিসের সঙ্গে সম্ভবত তাঁর মন্ত্রণালয়ের আরও দুই মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তাও পদত্যাগ করেছেন৷ আগামী কয়েক দিনে আরও মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷

মন্ত্রিসভায় কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রধানমন্ত্রী মে'র ‘নরমপন্থি' নীতি মেনে নিতে পারছেন না৷ইইউ থেকে বিদায় নেবার পরেও সেই রাষ্ট্রজোটের সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রাখতে চান মে৷ যদিও শুধু পণ্যের ক্ষেত্রে মুক্ত বাণিজ্যের সম্পর্কের প্রস্তাব ইইউ মেনে নেবে কিনা, তা নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে৷ ইইউ'র ব্রেক্সিট সংক্রান্ত মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন৷

ইইউ নীতিগতভাবে এমন বিচ্ছিন্ন সম্পর্কের বিরোধী৷ শুরু থেকেই তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পণ্য, পরিষেবা, শ্রমিক ও মূলধনের অবাধ চলাচল ছাড়া এ ধরনের সম্পর্ক সম্ভব নয়৷ উল্লেখ্য, নরওয়ে বা সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ইইউ'র এমন সম্পর্ক রয়েছে৷ অন্যদিকে মন্ত্রিসভায় কট্টরপন্থিরা ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জোটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করার পক্ষে৷ এমন প্রেক্ষাপটে একাধিক ব্রেক্সিটপন্থি নেতা ডেভিসের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন৷

নতুন এই সংকটের ফলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়লো, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ শেষ পর্যন্ত ইইউ'র সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব হলেও তিনি ব্রিটেনের সংসদে তা অনুমোদন করাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ সোমবারই তাঁর সংসদে সরকারের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা৷ রক্ষণশীল দলের মধ্যে বিদ্রোহের ফলে তাঁকে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে হবে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ মে যেভাবে কর্তৃত্ব হারিয়ে চলেছেন, তার ফলে ঘরে-বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়ে চলেছে৷ বিরোধী লেবার পার্টিও তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য