1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত থেকে শূন্যহাতে ফিরেছি এরকম বলা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত সফর থেকে তিনি শূন্যহাতে ফেরেননি৷ গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন৷

https://p.dw.com/p/4Gp1Z
Bangladesch Dhaka Sheikh Hasina
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)ছবি: Xinhua News Agency/picture alliance

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কর্মসূচিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগ দিলেও বুধবার সরাসরিই সংবাদ সম্মেলনে আসেন শেখ হাসিনা। চারদিনের ভারত সফর নিয়ে কথা বলার জন্য তিনি সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন- এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস।তবে সংবাদ সম্মেলন গণভবনে, নাকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হবে, তা তখন জানানো হয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে গত ৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার)  রাষ্ট্রীয় এ সফর শুরু করেন শেখ হাসিনা। সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনও রয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিল্লি থেকে ঢাকায় ফেরেন শেখ হাসিনা৷

দেশে ফেরার পাঁচদিন পর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান৷ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন৷ শুরুতেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, সদ্য সমাপ্ত সফরে ভারতের তরফে কোনো উদারতা বা আন্তরিকতা চোখে পড়েছে কিনা৷ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘‘যথেষ্ট আন্তরিকতা আমি পেয়েছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট বা অন্যান্য যার যার সঙ্গে কথা হয়েছে, তাদের আন্তরিকতা সবসময় ছিল, আছে। আপনারা জানেন, একটা বিষয়, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের সব দল-মত এক থাকে। এটা হলো বড় কথা।”

 অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে ভারতের সব দল-মত, জনগণ এক হয়ে আমাদের সমর্থন দিয়েছিল। আবার আমরা যখন স্থল সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করি, যখন ছিটমহল বিনিময় করি, তখন দেখেছেন, ভারতের পার্লামেন্টে যখন আইনটা পাস হয়, তখন কিন্তু সব দল এক হয়ে স্থল সীমান চুক্তি আইন তারা পাস করেছিল।”

এ সফর থেকে কী পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের যে ভৌগোলিক অবস্থা, চারিদিকে ভারত, একটুখানি মিয়ানমার, তারপর বে অব বেঙ্গল। বন্ধুপ্রতীম দেশ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, যোগাযোগ সব বিষয়ে সহযোগিতাটা আমরা পাই।’’ সঙ্গে আরো যোগ করেন,  “নুমালিগড় থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল নিয়ে আসছি। সেই লাইন কিন্তু ভারত নির্মাণ করে দিচ্ছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপোতে এই তেলটা থাকবে। উত্তরবঙ্গে আর সুদূর চট্টগ্রাম থেকে বাঘাবাড়ি হয়ে তেল যেতে হবে না। রিফাইন করা তেল ওখান থেকেই আসবে। অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য আরও বাড়বে। উত্তর বঙ্গের মঙ্গা আমরা দূর করেছি।পাশাপাশি ভারত থেকে এলএনজি আমদানির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। ভারত যে এলএনজি নিয়ে আসছে সেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের জন্য যেন এলএনজি পেতে পারি সেই আলোচনা হয়েছে।” এ প্রসঙ্গের বক্তব্য শেষ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, “মনে হয় না যে একেবারে শূন্য হাতে ফিরে এসেছি।” 

তবে তিস্তা চুক্তির মতো কিছু বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এটা বাস্তব যে, পাশাপাশি একটি দেশের সঙ্গে নানা সমস্যা থাকতে পারে। আমি সবসময় মনে করি যে, সমস্যাগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়।’’

ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’’ এ নীতিই মেনে চলেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ বলতে পারবে না এ শত্রু ও বন্ধু। সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই আমাদের সব সমস্যার সমাধান করছি। বিশাল সমুদ্রসীমা… ৯৬ সালের আগেতো এ ব্যাপারে কোনো আলোচনাই হয়নি। ৯৬ সালে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। ২০০১ এ বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলো। তারা কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর আমরা যখন উদ্যোগ নিলাম, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই ভারত-মিয়ানমারের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে সমাধান হয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছি সত্য। আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরেনি।” 

এসিবি/কেএম (বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)