1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে আসছেন না বরিস জনসন

৬ জানুয়ারি ২০২১

আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতে আসার কথা ছিল যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর। করোনার কারণে তিনি সেই সফর বাতিল করেছেন।

https://p.dw.com/p/3nYOH
বরিস জনসন
ছবি: Jeff Overs/PA Media/BBC/dpa/picture alliance

ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আসছেন না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। মঙ্গলবার রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করে এ কথা জানিয়েছেন বরিস নিজেই। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এবং লকডাউনের কারণে ভারতে আসতে পারছেন না বরিস। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় অন্য কাউকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সোমবারই বরিস জনসন যুক্তরাজ্যে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইন আসার পরেই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন জনসন। ডিসেম্বরের শেষ দিনে আশি হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন স্ট্রেইন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ঘরে ঘরে। তারই জেরে লকডাউন ঘোষণা করেছেন বরিস। মঙ্গলবার তিনি মোদীকে ফোন করে বলেছেন, যে ভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে এই মুহূর্তে দেশ ছাড়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আসতে পারবেন না তিনি। ব্রেক্সিটের পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।

জনসনের আসা অনিশ্চিত হয়েছিল আগেই। দেশের মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান মাসখানেক আগেই জানিয়েছিলেন, যে ভাবে যুক্তরাজ্যে নতুন স্ট্রেইন ছড়াচ্ছে, তাতে কোনো ভাবেই বরিসের বিদেশ সফর করা উচিত হবে না। তাঁর শরীরেও নতুন স্ট্রেইন থাকতে পারে এবং তাঁর মাধ্যমে অন্য দেশে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্য দিকে ভারতে কৃষক আন্দোলন চলছে। বহু শিখ পাঞ্জাবি কৃষক সেই আন্দোলনে রয়েছেন। তাঁরা ব্রিটিশ শিখ রাজনীতিবিদদের সাহায্যে জনসনের অফিসে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তাঁরা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তিনি যেন ভারতে না আসেন। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে যেন তিনি এই পদক্ষেপ নেন। বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছে।

মঙ্গলবার মোদী এবং জনসনের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে অবশ্য এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, পিটিআই)