1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা লাখ ছাড়ালো

৭ জানুয়ারি ২০২২

গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ১৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেন। সাত মাস পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়ালো।

https://p.dw.com/p/45FDi
করোনা লাফিয়ে বাড়ছে, কিন্তু দিল্লির বাজারে ভিড় কমছে না। সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না।ছবি: Adnan Abidi/REUTERS

যে বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্বেগে রেখেছে, তা হলো করোনা বৃদ্ধির হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা বৃদ্ধির হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২৭টি রাজ্যে করোনা লাফিয়ে বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন মহারাষ্ট্রে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ২৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি।

দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে ১৫ হাজার ২২১ জন একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিল্লিতে হয়েছেন ১৫ হজার ৯৭ জন। চার নম্বরে আছে তামিলনাড়ু, যেখানে প্রায় সাত হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০২ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। বেশিরভাগই কেরালায়। সেখানে ২২১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকরা কী বলছেন

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন প্রচণ্ড ছোঁয়াচে বলে এত দ্রুত ছড়াচ্ছে। তবে মানুষের মনে ধারণা হয়েছে, ওমিক্রন ভাইরাস ডেল্টার মতো ভয়ংকর নয়। এর ফলে মানুষ কম মারা যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এমন ধারণা করে ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নিলে বড় বিপর্যয় হতে পারে।

ফুসফুসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বোস জানিয়েছেন, ''ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়ার প্রশ্নই নেই। মনে রাখতে হবে, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের কোমর্বিডিটি বা অন্য গুরুতর রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।'' পার্থপ্রতিমের পরামর্শ, ''মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ করার কাজে ঢিলেমি দেয়া যাবে না। আর ভিড় এড়িয়ে যেতে হবে।''

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, এতজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন যে, তার প্রভাব স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে পড়তে শুরু করেছে। সেটা মাথায় রেখে সাবধান হওয়া খুবই জরুরি।

দিল্লিতে সপ্তাহান্তের কার্ফিউ

দিল্লিতে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হচ্ছে সপ্তাহান্তের কার্ফিউ। চলবে সোমবার সকাল পাঁচটা পর্যন্ত। শনি ও রোববার সারাদিন ধরে কার্ফিউ বহাল থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। করোনাকে লাগাম পরাতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে লকডাউনের চিন্তা

মহারাষ্ট্রে আবার লকডাউন জারি করা হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)