1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নয়, টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমিরাতে

২৯ জুন ২০২১

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আমিরাতে। জানিয়ে দিল ভারতীয় বোর্ড। সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

https://p.dw.com/p/3vjUp
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
ছবি: Getty Images/AFP/P. Paranjpe

আইপিএল-এর পর এ বার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কাপও দেশের বাইরে চলে গেল। সোমবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভারতে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে না। আইপিএল-এর মতোই বিশ্বকাপের আয়োজন হবে  আরব আমিরাতে।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সৌরভ জানিয়েছেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, এর আগে করোনা উপেক্ষা করেই আইপিএল শুরু হয়েছিল ভারতে। কিন্তু মাঝ পথে খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। শেষ পর্যন্ত বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, সেপ্টেম্বর মাসে আমিরাতে দ্বিতীয় পর্বের আইপিএল আয়োজন করা হবে। তারই মধ্যে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চলে আসে।

বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাজীব শুক্লা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবারই আইসিসিকে সিদ্ধান্ত জানানোর শেষ দিন ছিল। ফলে জরুরি বৈঠকে বসেন সৌরভ সহ বোর্ডের সদস্যরা। দীর্ঘ আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপ দেশের বাইরে পাঠানোই উচিত হবে। তারপরেই আরব আমিরাতকে পরিবর্তিত জায়গা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু আমিরাতে কী ভাবে ম্যাচের আয়োজন হবে, কয়টি স্টেডিয়ামে খেলা হবে, এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত বোর্ড জানায়নি। সৌরভ বলেছেন, বাকি তথ্য পরে দেওয়া হবে।

গত দুই মাসে করোনার ভয়াবহ চেহারা দেখেছে ভারত। দৈনিক সংক্রমণ এক সময় তিন লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতির মধ্যেও আইপিএল ম্যাচ চলছিল। বস্তুত, করোনার মধ্যে আইপিএল চালানো নিয়ে বহু সমালোচনা শুনতে হয়েছে বোর্ডকে। খেলোয়াড়রাও আক্রান্ত হতে শুরু করেন। ফলে শেষ পর্যন্ত আইপিএল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপের সময় ভারতে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। যদিও তার শক্তি দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো হবে না বলেই মনে করছেন গবেষকদের একাংশ। কিন্তু বিশ্বকাপ আয়োজন করা উচিত হবে বলে কেউই মনে করছেন না। সৌরভ প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেশের মধ্যেই রাখতে। ফলে শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার ছিল আইসিসিকে সিদ্ধান্ত জানানোর শেষ দিন। ফলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বোর্ড।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)